English Version
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৭:২৫
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের

ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করে স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৮ বল হাতে জয় নিশ্চিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ম্যাচটি শুরু হয়।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব ১৯ দলের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান করে তার দল। বাংলাদেশের দেওয়া ২২৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। ইনিংসের ৫ ওভারে প্রথম উইকেট হারালেও এর আগেই ৪৪ রানের জুটি গড়েন ২ ক্যারিবীয় উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ১২ বলের ব্যবধানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২ উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে ঘরে ফেরান বাংলাদেশে অধিনায়ক মেহেদী হাসান।

তৃতীয় উইকেটে আবারও ৬২ রানের জুটি গড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯.৫ ওভারে দলীয় ১১৮ রানে ক্যারিবীয়দের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সালেহ আহমেদ শাওন। ২৭.৩ ওভারে ক্যারিবীয় অধিনায়ক হেটমায়ারকে (৬০) ঘরে ফেরান সাইফুদ্দীন। এরপর ৩৮তম ওভারে জোড়া উইকেট নেন শাওন। ৩৭.২ ওভারে গলি এবং ৩৭.৫ ওভারে শাওনের বলে পল আউট হলে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪৬.১ ওভারে ক্যারিবীয়দের সপ্তম উইকেটটি নেন সাইফুদ্দীন।

তবে কাছাকাছি গিয়েও জয় পেল না বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ৬২ রানের ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জয় নিশ্চিত করেন স্প্রিঙ্গার। এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১০ রানে সাজঘরে ফেরেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান পিনাক ঘোষ (০)। এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান। ইনিংসের ৬.১ ওভারে দলীয় ২৭ রানে ঘরে ফেরেন সাইফ (১০)। তৃতীয় উইকেটে জয়রাজ শেখের সঙ্গে ৩১ রানের জুটির পর দলীয় ৫৮ রানে আউট হন নাজমুল হাসান শান্ত (১১)।

চতুর্থ উইকেটে আবারও ৩০ রানের জুটি গড়তে অবদান রাখেন জয়রাজ শেখ। ২১.৪ ওভারে দলীয় ৮৮ রানে বোল্ড হওয়ার আগে জয়রাজের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। ২৭.১ ওভারে দলীয় ১১৩ রানে বাংলাদেশের পঞ্চম উইকেটের পতন হয়। হোল্ডারের বলে বোল্ড হন জাকির হাসান (২৪)। ষষ্ট উইকেটে ৮৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মেহেদী ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন। ৪৫.৩ ওভারে সাজঘরে ফেরেন মেহেদী। এর আগে ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬০ রান করেন তিনি। পরের বলেই মেহেদীকে অনুসরণ করেন সাইফুদ্দীন (৩৬)।

এরপর আবারও দ্রুত উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। শেষ ২৬ বলে ২৯ রান নিলেও ৩টি উইকেটের পতন হয়। ৪৭.৩ ওভারে দলীয় ২০৫ রানে সাঈদ সরকার এবং ৪৯তম ওভারে দলীয় ২১৭ রানে মোসাব্বেক হোসেন আউট হন। শেষ ওভারে আসে ৯ রান। ইনিংসের শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে সালেহ আহমেদ শাওন রান আউট হলে ২২৬ রানে থামে বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস। ১০ রানে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান রানা।

ক্যারিবীয়দের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন ক্যামু পল। এছাড়া চ্যামার হোল্ডার ও স্যামার স্প্রিঙ্গার প্রত্যেকে ২টি করে এবং আলজারি জোসেফ ও রায়ান জন একটি করে উইকেট নেন।