English Version
আপডেট : ১০ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৮:২০

আকমলের শনির দশা

নিজস্ব প্রতিবেদক
আকমলের শনির দশা
ফাইল ছবি

আর সতর্কবার্তা নয়। হুঁশিয়ারি নয়। এসব পেয়ে পেয়ে হয়তো গা সয়ে গেছে। এবার এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাই পেলেন উমর আকমল। আর তাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামা হচ্ছে না তার। আকমল বোধ হয় পণই করে বসেছেন, খবরের শিরোনাম হতেই হবে। আকমলের সর্বশেষ টাটকা বিতর্ক কদিন আগে ঘরোয়া দলের কোচ বাসিত আলীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। সেবার সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হলেও এবার বিতর্কে জড়িয়ে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞাই পেলেন এই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান। ১৫ জানুয়ারি মোহাম্মদ আমিরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সম্ভাব্য ম্যাচটিতে থাকা হচ্ছে না তার।

কায়েদ-এ-আযম ট্রফির ফাইনালে ব্যাটিং অর্ডারে নিচে নামার কারণে কোচের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেছিলেন আকমল। সে জন্য এক দফা সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে তাঁর ওপর। এখন জানা যাচ্ছে সেদিন ‘অপকর্মে’র তালিকায় কেবল এই ঘটনাই ছিল না। সেদিন আইসিসির ‘ড্রেস কোড’ও ভেঙেছিলেন। আইসিসির নীতিমালা অনুযায়ী খেলোয়াড়দের জার্সিতে শুধু একটি স্পনসরের লোগো লাগানো যায়। কিন্তু সেদিন আকমল দুটি লোগো লাগিয়ে নেমেছিলেন মাঠে। এ নিয়ে ম্যাচ রেফারি আনোয়ার খান সতর্ক করলেও আকমল নাকি কথা কানেই তোলেননি। আইসিসির নীতিমালায় এটি লেভেল-১ পর্যায়ের অপরাধ। সে জন্যই আকমলকে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা জুটেছে। এ নিয়ে পাকিস্তানের কোচ ওয়াকার ইউনিস প্রচণ্ড বিরক্ত। এর আগেও আকমলের আচার আচরণে বিরক্ত হয়ে আকমলকে দল থেকে বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ওয়াকার। আকমল নতুন বিতর্কে জড়ানোর পর তাই বিরক্তি লুকাননি পাকিস্তান কোচ, ‘বারবার অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে উমরের জড়িয়ে পড়াটা দলের জন্য খুবই হতাশাজনক। এটা ওর ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর, তাঁকে ক্রিকেট নিয়ে মনোযোগী হতে দিচ্ছে না এসব। ২০০৯ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে সে, এখন তার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার সময় এসেছে।’ প্রতিভাবান, কিন্তু আকমল আসলেই বারবার অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে ভুল কারণে খবরে এসেছেন। এমনকি একবার তো বড় ভাইকে দল থেকে বাদ দেওয়ায় মিথ্যা ইনজুরির কথা বলে একাদশ থেকে নিজেকে সরিয়েও নিয়েছিলেন। আচরণবিধি ভেঙে সংবাদমাধ্যমে কথা বলায় ২০ থেকে ৩০ লাখ রুপির জরিমানাও করা হয়েছিল তাকে।