English Version
আপডেট : ৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ২১:০৭

শচীন নেই ৫০ বছরের সেরার তালিকায় !

নিজস্ব প্রতিবেদক
শচীন নেই ৫০ বছরের সেরার তালিকায় !
ফাইল ছবি

ক্রিকেট ইতিহাসে ব্যাটিং রেকর্ডের চন্দ্রজয় করেছেন শচীন। পা রেখেছেন রেকর্ড-চূড়ায়। কিন্তু সেই শচীন টেন্ডুলকারের কোনো পারফরম্যান্স জায়গা পেল না গত ৫০ বছরে টেস্ট ইতিহাসের সেরা ৫০-এর তালিকায়! ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব পোর্টাল ক্রিকইনফোর মাসিক অনলাইন সাময়িকী ক্রিকেট মান্থলির বছর শুরুর সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে গত আধা শতাব্দীর সেরা ৫০টি পারফরম্যান্সের তালিকা। বিশ্বজুড়ে ২৫ জন ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব, ক্রিকেট লেখক ও সাংবাদিক তাদের চোখে সেরা ১০টি পারফরম্যান্সের তালিকা জমা দিয়েছিলেন। এ তালিকা থেকে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে বেছে নেওয়া হয়েছে সেরা ৫০। জুরিদের বেছে নেওয়া তালিকায় টেন্ডুলকারের কোনো ইনিংস সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি।  সর্বাধিক ভোট পেয়ে গত ৫০ বছরের সেরা পারফরম্যান্স হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে ২০০১ সালের কলকাতা টেস্টে খেলা ভিভিএস লক্ষ্মণের সেই মহাকাব্যিক ২৮১ রানের ইনিংসটি। যে ইনিংস ২৭৪ রানের ঘাটতি নিয়ে ফলোঅন করতে নামা ভারতকে এমন আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল আর অস্ট্রেলিয়াকে এতটাই হকচকিয়ে দিয়েছিল যে, অবিশ্বাস্যভাবে ভারত ম্যাচটা জিতে যায় ১৭১ রানে। অথচ চতুর্থ দিনের লাঞ্চের সময়ও মনে হয়নি, এমন কিছু একটা হতে পারে!  শুধু টেস্ট নয়, শুধু ক্রিকেট নয়; পৃথিবীর অন্য সব খেলা, অন্যসব খেলোয়াড়দের কাছে অবশ্য পাঠ্য হতে পারে লক্ষ্মণের এই ইনিংস—এভাবেও ফিরে আসা যায়! শুধু খেলোয়াড় কেন? জীবন সংগ্রামে লড়ে লড়ে ক্লান্ত মানুষও চাইলে অনুপ্রেরণার নুড়িপাথর কুড়িয়ে নিতে পারেন। অবশ্য লক্ষ্মণের ইনিংসটায় ঠিক ‘লড়াই’ শব্দের ঘাম মেশানো গন্ধটা যায় না। সেটার সঙ্গে মিকেল অ্যাঞ্জেলোর মহান কোনো সৃষ্টিই যেন তুল্য।

টেন্ডুলকার ৫০-এর মধ্যে জায়গা না পেলেও ব্রায়ান লারার একাধিক পারফরম্যান্স আছে এখানে। সবার ওপরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজটাউনে অপরাজিত ১৫৩ রানের সেই ইনিংস, যেটি আছে চার নম্বরে। সেরা দশে আছেন আরও দুই ক্যারিবীয় কিংবদন্তি। তিনে মাইকেল হোল্ডিং, দশে গ্যারি সোবার্স। ইংল্যান্ডের আছেন দুজন। এর মধ্যে ইয়ান বোথাম একারই ​দুটি পারফরম্যান্স। বোথামের অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তনের গল্প হয়ে থাকা ১৯৮১ সালের হেডিংলি টেস্টে তাঁর ব্যাটে-বলে অস্ট্রেলিয়ার ছাই হয়ে যাওয়া আছে সেরা দশের দুইয়ে। সেই টেস্টেও ফলো অন করার পর জিতেছিল ইংল্যান্ড। ১৯৮০ মুম্বাই টেস্টের ‘অলরাউন্ডার’ বোথামের পারফরম্যান্স আছে পাঁচে।  সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারের তালিকায় বোথামকে পেছনে ফেললেও পারফরম্যান্সের এই তালিকায় স্যার গ্যারি আছেন ১০ নম্বরে। একটুর জন্য সেরা দশের বাইরে ছিটকে গিয়ে এগারোতে জায়গা করে নিয়েছে কুম্বলের সেই ইনিংসে ১০ উইকেটের কীর্তি। কুম্বলে জায়গা না-পেলেও সেরা দশে এ কালের ক্রিকেটারদের মধ্যে লক্ষ্মণ-লারা ছাড়াও আছেন মুত্তিয়া মুরালিধরন। ২৫ জনের জুরি বোর্ডে ছিলেন গ্রেগ চ্যাপেলের মতো সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। দুই টেস্ট খেলার মাঝে ২২ বছর অপেক্ষার জন্য সুখ্যাত জন ট্রাইকস, ক্রিকেট ছাড়ার কিছুদিনের মধ্যে বিশ্লেষক হিসেবে নজর কাড়া রাসেল আরনল্ডরাও ছিলেন। ছিলেন কোচ জন রাইট। শিল্ড বেরি, টনি কোজিয়ার, গিডিয়ন হেইগ, সঞ্জয় মাঞ্জরেকার, রমিজ রাজাদের মতো ক্রিকেট লেখক, সাবেক ক্রিকেটার ও ভাষ্যকারেরাও।