English Version
আপডেট : ২ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৮:১৭

"সাকিব হঠাৎ তোর এই পিক টা পাইলাম ল্যাপটপে..."

বাংলাদেশ ক্রিকেটের এখন সুদিন। তাতে কারও অবদানকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। ছবির একজন বর্তমানে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, অপরজন মাঠের লড়াই থেকে সরে গিয়ে হয়েছেন ধারাভাষ্যকার। অথচ মাঝখানে ব্যাবধান আট বছর।

ছবিতে দন্ত বিকশিত করে যে দুই তরুণ হাসছে তাদের কথাই বলছি। আট বছর পর একটি ছবি ফিরিয়ে আনল পুরোনো স্মৃতি। নিজের ফেসবুক একাউন্টে সাকিব-আল হাসানের সঙ্গে তোলা একটা ছবি পোস্ট করে এভাবেই স্মৃতিকাতর হয়েছেন মেহরাব হোসেন জুনিয়র।

২০০৮ সালের অক্টোবর। চট্টগ্রাম টেস্টে মুখোমুখি নিউজিল্যান্ড আর বাংলাদেশ। দারুণ খেলেছিলেন দুই তরুণ তুর্কি। প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে পড়ে গিয়েছিল ৪ উইকেট। দলকে টেনে তুলতে পঞ্চম উইকেট জুটিতে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ১৪৪ রানের দারুণ একটি জুটি গড়েছিলেন মেহরাব। মুশফিক করেছিলেন ৭৯ আর মেহরাব দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৩। কে জানত, টেস্ট ক্যারিয়ারে ওটাই সর্বোচ্চ রান হয়ে থাকবে মেহরাবের। আর সাকিব? তার স্মৃতিও কি কম ঐ ম্যাচে ? প্রথম ইনিংসে ৩৬ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডকে। যেটা এখনো টেস্টে সাকিবের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। আর দুই ইনিংস মিলিয়ে পেয়েছিলেন ৯ উইকেট। ব্যাট হাতেও কম ভোগাননি কিউইদের। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছিলেন ৭১ রানের দারুণ এক ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ওই টেস্ট ম্যাচটি পরিণত হয়েছিল ‘সাকিব বনাম ভেট্টোরি’ লড়াইয়ে। লড়াইয়ে জয় হয় কিউই অধিনায়কের। তাঁর অলরাউন্ড নৈপুণ্যে বাংলাদেশ হেরে যায় ৩ উইকেটে। সাকিব অবশ্য পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরও সাফল্য পেয়েছেন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মেহরাবের পথ চলা খুব একটা দীর্ঘায়িত হয়নি। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে দারুণ আলো ছড়ানো মেহরাব বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন মাত্র ৭টি টেস্ট, ১৮টি ওয়ানডে ও ২টি-টোয়েন্টি। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সিরিজে নতুন ভূমিকায় দেখা গেছে মেহরাবকে। অভিষেক হয়েছে ধারাভাষ্যকার হিসেবে। বন্ধু সাকিব অভিনন্দন জানিয়েছিলেন ভাষ্যকার মেহরাবকে। তবে ধারাভাষ্যকার হয়েছেন বলেই যে, মেহরাব নিজের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছেন এমনটা নয়। বরং এ​খনো তিনি ফেরার ​দিন গুণছেন তিনি।