English Version
আপডেট : ২ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:৪৯

সাকিব এবারও নাইট রাইডার্সে

সাকিব এবারও নাইট রাইডার্সে

আগামী ফেব্রুয়ারিতে আইপিএলের নিলামের আগে গতকাল ছিল ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর দল গুছিয়ে নেওয়ার শেষ দিন। দলে কাকে রাখা হবে কাকে রাখা হবে না গতকাল এসবের তালিকা জমা দেয়ার দলগুলোকে বলা হয়েছিল। পাকিস্তান সিরিজের জন্য গত আইপিএল এ মাত্র ৪টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন সাকিব। ব্যাট-বল হাতে খুব বেশি একটা সুবিধাও করে উঠতে পারেননি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি আর ওয়ানডের বর্তমান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মাপকাঠি তো শুধু কয়েকটি ম্যাচের পারফর্ম্যান্স নয় তা পাকা জহুরীর মত আবার বুঝিয়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফলাফল সাকিব এবারও খেলছেন কলাকাতার হয়ে।

তাতে ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে মোট ১০১ জন খেলোয়াড়কে দলে রেখে দিয়েছে, আর ছেড়ে দিয়েছে ৬১ জনকে। ছেড়ে দেওয়ার তালিকায় আছে ডেল স্টেইন, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, যুবরাজ সিং, কেভিন পিটারসেনসহ অনেক বড় নাম। তবে এঁদের মধ্যে যুবরাজ আর ম্যাথুসের বিষয়টা একটু ভিন্ন। গতবারের নিলামে ভারতীয় ও বিদেশি দুই কোটায় সবচেয়ে দামি দুই খেলোয়াড় ছিলেন দিল্লির এই দুই খেলোয়াড়। কিন্তু তাদের পারফর্মেন্সটা তেমন ‘দামী’ ছিল না। কিন্তু সাকিবকে নিয়ে এসব হিসাব-নিকাশ করতেই চায়নি কলকাতা।কারণ সাকিব দলে থাকা মানেই তো একটা নির্ভরতা। এমন একজনকে কেন হাতছাড়া করার মত বোকামিটা কলকাতা করেনি।

২০১১ আইপিএলে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রথম কিনে নিয়েছিল সাকিবকে। আইপিএলে এই পর্যন্ত ৫ মৌসুমে ৩২ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। তাতে মূলত পাঁচ-ছয়ে নেমে ২১.২৮ গড়ে ৩৮৩ রান, আর বল হাতে ৩৮ উইকেট। ২০১১ সালে সাকিব আল হাসান যোগ দেওয়ার আগের তিন মৌসুমে আইপিএলে নাইট রাইডার্স ৮ দলের টুর্নামেন্টে দুইবার ষষ্ঠ, অন্যবার সবার শেষে স্থান করে নিয়েছিল। এমন করুন পার্ফমেন্সের পর সাকিব যোগ দেয় দলে। এরপর ৫ মৌসুমে দুবার চ্যাম্পিয়ন, আর একবারের সেমিফাইনালিস্ট। এটাকে কলকাতার “সাকিব ভাগ্য” বলে ভাবতে চাইলে ভাবতেই পারেন। বিষয়টি এমন নয় যে সাকিব একাই কলকাতাকে জিতিয়েছে। সাফল্য পুরো দলেরই। কিন্তু ব্যাটে-বলে সাকিব যেভাবে ভরসা জোগান, সেটি তাঁর মতো করে আর কে দিতে পারবে!