বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে সতর্ক

শেয়ারবাজারে বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবার সূচক কমতে শুরু করেছে। গতকাল বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪০ পয়েন্ট হারিয়েছে, নেমেছে ৫৮৮৪ পয়েন্টে। এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের প্রথম চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন দিনই সূচকের পতন হলো। এ সময় সূচকটি হারিয়েছে প্রায় ৬৬ পয়েন্ট।
বাজার সংশ্নিষ্টরা জানান, গত বছর মুদ্রানীতি ইস্যুতে শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়েছিল। এ বছর মুদ্রানীতি কেমন হয়- তা জানার আগ পর্যন্ত গত কয়েকদিন ধরে বিনিয়োগকারীরা মনোস্তাত্ত্বিক চাপে ছিলেন। গতকালের লেনদেনেও এর প্রতিফলন ছিল। যদিও ঘোষিত মুদ্রানীতিতে শেয়ারবাজার ইস্যুতে খারাপ কিছু ছিল না। সার্বিকভাবে ঘোষিত মুদ্রানীতিকে স্বাগত জানিয়ে ডিএসই এক বিবৃতিতে বলেছে, বন্ড বাজার গড়ে তোলার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্ব প্রদান শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক।
অবশ্য বাজার পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডিএসইএক্স ৬ হাজার পয়েন্টের কাছাকাছি যাওয়ার পরই বাজারে দরপতন শুরু হয়। বিশেষ করে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কমছে। সাম্প্রতিক সময়ে সূচকের বড় উত্থানের প্রেক্ষাপটে বড় বিনিয়োগকারীদের কেউ কেউ বিনিয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করছেন। এটাও সূচকের বর্তমান পতনের কারণ হতে পারে বলে মত দেন তারা। তাছাড়া ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে উৎপাদন ও সেবামুখী খাতের কোম্পানিগুলোর অর্ধবার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনও লেনদেনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন তারা।
গতকালের ডিএসইএক্স সূচকের পতন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্যাংক খাতের দরপতনে সূচক কমেছে অন্তত ২০ পয়েন্ট। এ ছাড়া স্কয়ার ফার্মার দরপতনে ওষুধ ও রসায়ন খাতও সার্বিক হিসেবে সূচকে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার পরিমাণ প্রায় ১৬ পয়েন্ট।
গতকাল ৩০ ব্যাংকের মধ্যে ২৯টির এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ২৩টির মধ্যে ২২টির দর কমেছে। অন্যদিকে বীমা খাতের ৪৭ শেয়ারের মধ্যে ২৭টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬টির। এর বাইরে সিরামিক খাতের পাঁচ কোম্পানির সবগুলোর বাজারদর বেড়েছে। অন্য খাতগুলোর বেশিরভাগ শেয়ার দর হারিয়েছে। সার্বিক হিসাবে ১০২ শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দরবৃদ্ধির বিপরীতে ২১৩টির দর কমেছে।