সিএসইর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ তুলেন বিএসইসি

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদের বিরুদ্ধে তথ্য জালিয়াতির অভিযোগ তুলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তার কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এই ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৭ কার্যদিবস।
সোমবার ইস্যু করা একটি চিঠিতে এই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিএসইসির কমিশনের কাছে সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বক্তব্য হিসেবে স্টক এক্সচেঞ্জটির চেয়ারম্যানের পাঠানো একটি প্রতিবেদনের বস্তুনিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
পর্ষদের বক্তব্য বলা হলেও তা কোনো পর্ষদ সভায় অনুমোদিত নয় বলে দাবি করেছে বিএসইসি। এই কারণে ওই প্রতিবেদনটিকে কমিশনের নিকট মিথ্যা তথ্য প্রদানের শামিল বলে মনে করছে তারা।
সিএসই মনে করেন, বিএসইসির কাছে পাঠানো তাদের চেয়ারম্যানের প্রতিবেদনটি যথার্থ। পর্ষদের বক্তব্য হিসেবে তাদের চেয়ারম্যান যা লিখেছেন, তা আসলেই তাদের বক্তব্য। এ বিষয়ে তাদের কোনো ভিন্ন মত নেই।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সিএসই চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অফিসে যোগাযোগ করা হলে তাকে সেখানেও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ২০১৫ সালের শেষভাগে সিএসইর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন হঠাৎ পদত্যাগ করেন। তিনি অভিযোগ করেন, স্টক এক্সচেঞ্জটির পরিচালনা পর্ষদ তার কাজে অযাচিত হস্তক্ষেপ করছে, তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন না। বিএসইসির কাছেও এ ধরনের একটি অভিযোগপত্র জমা দেন মারুফ মতিন।
অন্যদিকে সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে মারুফ মতিনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। তার নিয়োগপত্রে সিএসইর চট্টগ্রাম অফিসে বসার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কার্যত তিনি তা করেননি। প্রধান কার্যালয়ের পরিবর্তে ঢাকা অফিসে বেশি সময় বসেছেন। অফিসের কাজ দেখিয়ে চট্টগ্রাম গিয়ে অফিসে যাননি, কিন্তু হোটেল বিলসহ সব ধরনের ভাতা নিয়েছেন। কেনা-কাটা, অফিস সংস্কারসহ অনেক কাজেই অনুমোদিত অর্থ ব্যয় করেছেন। নিজের পছন্দ অনুসারে অপ্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে বিএসইসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কিন্তু সেই কমিটি যথাযথভাবে তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ, সিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বক্তব্য গ্রহণ, প্রশ্ন-উত্তর-ব্যাখ্যা ইত্যাদি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি বলে মনে করছে সিএসইর পরিচালনা পর্ষদ।