English Version
আপডেট : ৮ মে, ২০১৬ ১৬:৫৩

কর অবকাশ সুবিধা চায় ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক
কর অবকাশ সুবিধা চায় ডিএসই

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ধারাবাহিক গতি উন্নয়ন লক্ষে আরো ৫ বছর কর অবকাশ সুবিধা প্রস্তাব করেন ডিএসইর চেয়ারম্যান বিচারপতি সিদ্দিকুর রহমান মিয়া।

রোববার (৮ মে) ডিএসইতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে তিনি এ কথা জানান।

এর আগে সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান সঙ্গে  ডিএসই কতৃপক্ষ সাক্ষাৎ করেন। এসময়ে এনবিআর  চেয়ারম্যানের কাছে বেশকিছু প্রস্তাব করেন। অবশ্য প্রস্তাবগুলো এনবিআর চেয়ারম্যান বিশেষ বিবেচনায় রাখবে বলে জানান ডিএসইকে।

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান বলেন, উৎসে কর ০ দশমিক ০৫ থেকে কমিয়ে ০ দশমিক ০১৫ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সাথে ডিএসই বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত ডিভিডেন্ড ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাবও রাখেন।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল মতিন পাটোয়ারি বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)  প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এখনও পুরোপুরি সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। সক্ষমতা বাড়াতে হলে বিনিয়োগ ওপরে জোর দিতে হবে। এই কথায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এরই লক্ষে আরো ৫ বছর কর অবকাশ সুবিধা প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমান পুঁজিবাজারে  ব্রোকারদের আয় হচ্ছে না। পাশাপাশি এতো বেশি কর তারা দিতে পারছে না। এটা সমন্বয় থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

মার্জিন ঋণ নিয়ে মতিন পাটোয়ারি বলেন, যারা মার্জিন ঋণ নিয়েছেন, তাদের অনেকেই পুঁজি হারিয়েছেন। তাদের এখন ওই মার্জিন ঋণকে আয় হিসাবে ধরে কর আরোপ করা হচ্ছে। এটা যাতে না করা হয় তার জন্য আমরা প্রস্তাবনা দিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে নিবাসী ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের কর কর্তন ৮২সি ধারার অধীনে অন্তর্ভুক্তিকরণ, স্টক এক্সচেঞ্জের ডিমিউচ্যুয়ালাইড শেয়ার হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প ডিউটি হতে অব্যাহতি প্রদান এবং ইনকাম ট্যাক্স অর্ডিন্যান্স ১৯৮৪ এর সেকশন-২ এর সাবসেকশন (৩৫) এর অধীনে আয় বর্ষের সংজ্ঞা পরিবর্তনের প্রস্তাব এনবিআরকে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।

কালো টাকার সাদা করার সুবিধা রাখা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে মতিন পাটোয়ারি ও শাকিল রিজভী,  পরিস্কার কোন উত্তর দেননি। তারা উভয়ে জানান, বাজেট প্রস্তাবিত আকারে যা করা হয়েছে তাই জানানো হলো।

কালো টাকার সাদা করার সুবিধা চায় কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে, তারা উভয়ে এড়িয়ে যান।

এসময় রুহুল আমিন উপস্থিত ছিলেন।