English Version
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০১৬ ১৬:১০

কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার নীতিমালা অনুমোদন

এমএজামান
কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার নীতিমালা অনুমোদন

স্বল্প মূলধনী কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করতে ‘কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার’ বা ‘কিউআইও’ নীতিমালা ২০১৬ খসড়া অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে বুধবার (২৭ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৫৭০তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে ২০ ফেব্রুয়ারি স্বল্প মূলধনী কোম্পানির জন্য ‘স্মল ক্যাপ বোর্ড’ নামে নতুন বাজার গঠনের অনুমোদন দেয় বিএসইসি।

বিএসইসির সূত্রে, স্বল্প মূলধনী কোম্পানি তালিকাভুক্তির জন্য কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের মাধ্যমে পুঁজি উত্তোলন করতে হবে। আর স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ার শুধু কোয়ালিফাইড ইনভেস্টররা লেনদেন করতে পারবেন। এরই অংশ হিসেবে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দিল বিএসইসি।

খসড়া এ নীতিমালার ওপর জনমত যাচাই শেষে পরিমার্জন বা সংশোধন শেষে তা চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে বিএসসি। জনমত যাচাইয়ের জন্য শিগগিরই নীতিমালার খসড়া একটি ইংরেজি, একটি বাংলা দৈনিকে প্রকাশের পাশাপাশি বিএসইসির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর বলতে বিনিয়োগ-সংক্রান্ত সম্যক ধারণা রয়েছে এমন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ নিট সম্পদধারী ব্যক্তিকে বোঝাবে। কোয়ালিফাইড ইনভেস্টরদের জন্য সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ভিন্ন ধরনের বিও হিসাব প্রণয়ন করবে।

স্বল্প মূলধনী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির জন্য কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা থাকতে হবে। আর তালিকাভুক্তির পর পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০ কোটি টাকায় উন্নীত করতে হবে। তবে সর্বোচ্চ পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকার নিচে থাকতে হবে।

বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই বাজারে ডাইরেক্ট লিস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে পারবে না। পাশাপাশি শেয়ারধারীদের শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত লক ইন থাকবে। বাজারে লেনদেনের তারল্য বজায় রাখার জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানিকে কমপক্ষে ৩ বছরের জন্য মার্কেট মেকার নিয়োগ করতে হবে।

এই বাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ার ডিমেটারিয়ালাইজ (অজড়) আকারে হবে অর্থাৎ শেয়ার কাগুজে হতে পারবে না। শেয়ার লেনদেন হবে ইলেকট্রনিক ট্রেডিং প্লাটফর্মে এবং লেনদেন নিষ্পত্তির সময় হবে স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারের মতো। আর শেয়ার লেনদেন হবে স্টক ব্রোকারদের মাধ্যমে।