একমির আইপিও বাতিলে বিনিয়োগকারীদের মানবন্ধন
একমি ল্যাবরেটরিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) বাতিল করার জন্য মানবন্ধন করেছে সাধারন বিনিয়োগকারীরা। কোম্পানিটি অতিরিক্ত প্রিমিয়াম মূল্যে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে বলে অভিযোগ করেন বিনিয়োগকারীরা।
রোববার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সামনে পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী জাতীয় ঐক্য ফাউন্ডেশনের ব্যানারে বিনিয়োগকারীরা এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে পুঁজিবাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আইপিও স্থগিত রাখারও আহবান জানান তারা। এ ছাড়া ঋণগ্রস্থ কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদন না দেওয়ার জন্য দাবি জানান বিনিয়োগকারীরা।
এদিকে, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজের যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের টাকা জমা দেওয়া তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। টাকা জমা দেওয়া শুরু আজ ৩ এপ্রিল থেকে। চলবে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত।
এরআগে স্থানীয় ও প্রবাসী উভয় বিনিয়োগকারীদের জন্য এ সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় ১১ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৬৭তম সভায় একমি ল্যাবরেটরিজকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়। কোম্পানিটির ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
কোম্পানিটির ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশ বা আড়াই কোটি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য, ১০ শতাংশ বা ৫০ লাখ শেয়ার মিউচ্যুয়াল ফান্ডের জন্য, যার প্রতিটি কাট-অফ ৮৫.২০ টাকা, বাকি ৪০ শতাংশ বা ২ কোটি শেয়ার সাধারণ বিনিযোগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী ও এনআরবিদের জন্য। এই শেয়ারের কাট-অফ মুল্য ১০ শতাংশ কমে বা ৭৭ টাকায় ইস্যুর জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আইপিও আবেদনের মাধ্যমে কোম্পানিটি ৪০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা উত্তোলন করে এই টাকা দিয়ে ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণ প্রস্তাবে খরচ করবে। কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরের নিরীক্ষিত বিররণী অনুযায়ী শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.০৭ টাকা। আর ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছর অনুযায়ী ইপিএস হয়েছে ৫.৭০ টাকা। কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য ৭০.৩৭ টাকা।
ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিষ্টার টু দি ইস্যুর দায়িত্বে রয়েছে প্রাইম ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
