কমের আধারে ঢাকার শেয়ারবাজার

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন হয়েছে ২৭৮ কোটি ১১ লাখ টাকা। যা চলতি বছরেই শুধু নয়, গত সাড়ে ৩ মাসে এটিই ডিএসই‘র সর্বনিম্ন লেনদেন। এরআগে ২০১৫ সালের ১৩ ডিসেম্বর ডিএসই সর্বনিম্ন ২৭৪ কোটি ১৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বোদ্ধারা জানান, শেয়ারবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমেছে। শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীরাই নয়, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও বাজারে খুব একটা সক্রিয় নয়।
কারন হিসেবে তারা বলেন, যে যাই বলুক বাজার প্রতি বিনিয়োগকারীদের অাস্থা নেই। পাশাপাশি বিনেয়াগকারীদের অাস্থা বাড়ানোর বিষয়ে কোন ইতিবাচক মাথা ব্যাথাও নেই রেগুরেটরদের। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসই লেনদেন দিন দিন কমছে।
তথ্য মতে, চলতি মার্চ মাসে এ পর্যন্ত মোট ১৮ দিন লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র এক কার্যদিবসে ৫০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হয়েছে। ১২ দিনই লেনদেন হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার ঘরে। বাকি ৫ কার্যদিবসে ৪০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু রোববার লেনদেন নেমে গেছে ২০০ কোটি টাকার ঘরে।
রোববার সপ্তাহের প্রথম দিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের পতন হয়েছে ১৪.৫৫ পয়েন্ট। দিনশেষে সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৫৫.৯৩ পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার সূচক কমেছিল ১০.৬৬ পয়েন্ট। গত ৪ দিনের টানা দরপতনে সূচক কমেছে ৮৭ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩১৯টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ১০৬টির, কমেছে ১৬৫টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির দর।
লেনদেনের শীর্ষে উঠে রয়েছে কেয়া কসমেটিকস। দিনশেষে কোম্পানিটির ১২ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে— এমারল্ড অয়েল, বিএসআরএম, ড্রাগন সোয়েটার, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, আমান ফিড, জাহিন স্পিনিং, ফু-ওয়া সিরামিকস, এএফসি এগ্রোবায়োটেক, পপুলার লাইফ।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ৪৩.৩৫ পয়েন্ট কমে দিনশেষে ৮১৩৮.৭৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। গত ৯২ কার্যদিবসের মধ্যে এটিই সিএসইর সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর সিএসইতে সর্বনিম্ন ১৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ১৩৩টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির দর।