English Version
আপডেট : ১৪ মার্চ, ২০১৬ ১৫:৩৬

ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ডিএসই

নিজস্ব প্রতিবেদক
ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ডিএসই

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। গত ৩ মার্চ ডিএসইর বোর্ড সভায় ২০১৪-১৫ হিসাব বছরের জন্য এ  ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয়। ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মিউচুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ডিমিউচুয়ালাইজড স্টক এক্সচেঞ্জে রূপান্তরিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো শেয়ারহোল্ডারদের জন্য  ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ। তবে পরিচালনা পর্ষদ ঘোষিত  ডিভিডেন্ড শেয়ারহোল্ডারদের সাধারণ সভায় (এজিএম) অনুমোদনের পর তা চূড়ান্ত হবে। আগামী ২৪ মার্চ রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে ডিএসইর এজিএম অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে পরিচালনা পর্ষদ ঘোষিত ১০ শতাংশ  ডিভিডেন্ড এজিএমে অনুমোদন পেলে তা বিতরণে রিজার্ভ ব্যবহার করতে হবে ডিএসইকে। কারণ ১০ শতাংশ  ডিভিডেন্ড বিতরণের জন্য যে পরিমাণ আয় হওয়ার দরকার ছিল ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে সে পরিমাণ আয় হয়নি। এ সময়ে ডিএসইর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭৫ পয়সা। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে  ডিভিডেন্ড প্রদানের জন্য শেয়ারপ্রতি আয় হওয়ার দরকার ছিল ১ টাকা। সে হিসাবে ১০ শতাংশ নগদ  ডিভিডেন্ড জন্য শেয়ারপ্রতি অতিরিক্ত ২৫ পয়সা দিতে হবে ডিএসইকে। আর সে অতিরিক্ত অর্থ জোগান দিতে হবে রিজার্ভ থেকে। অর্থাৎ  ডিভিডেন্ড দেওয়ার জন্য রিজার্ভ ভাঙতে হবে ডিএসইকে।

ডিএসইর আর্থিক প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে ডিএসইর নিট আয় হয়েছে প্রায় ১৩৫ কোটি ২৮ লাখ টাকা। ডিএসইর পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ১ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে ১০ শতাংশ হারে  ডিভিডেন্ড প্রদান করতে প্রয়োজন হবে প্রায় ১৮০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ফলে মুনাফা বিতরণে রিজার্ভ থেকে আরও ৪৫ কোটি ২ লাখ টাকা দিতে হবে ডিএসইকে। আগের হিসাব বছরে ডিএসইর শেয়ারপ্রতি আয়ের পরিমাণ ছিল ৭৪ পয়সা এবং নিট আয়ের পরিমাণ ছিল ১৩৩ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।

ডিএসইর আয়ের মূল উৎস হচ্ছে―লাগা চার্জ, হাওলা চার্জ ও তালিকাভুক্তি ফি। শেয়ারবাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় লাগা এবং হাওলা চার্জ থেকে আয় কমেছে। পাশাপাশি সুদবাবদ আয়ও কমেছে। তারপরও আগের হিসাব বছরের তুলনায় আয় সামান্য বেড়েছে। মূলত ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করায় নিট আয় বা ইপিএস বেড়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ডিএসইতে মোট লেনদেন (টার্নওভার) হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকার। ২০১৪-১৫ হিসাব বছরে এর পরিমাণ হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৩৫১ কোটি টাকার। ডিএসইর নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করেছে অডিট ফার্ম এ কাশেম অ্যান্ড কোম্পানি।