English Version
আপডেট : ২ মার্চ, ২০১৬ ১৩:৪৪

ঝুঁকিপূর্ণ দরে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা-বেচা করছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঝুঁকিপূর্ণ দরে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনা-বেচা করছে
পুঁজিবাজারে বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার দর ঝুঁকিপূর্ণ স্বতেও বিনিয়োগকারীরা বেচা-কেনা করছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাসিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে। 
 
শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি কোম্পানির পিই রেশিও যখন ১৫ এর চেয়ে বেশি হয়ে যায় তখন সে কোম্পানিতে বিনিয়োগকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হয়। সেই হিসেবে এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা ঝুঁকিপূর্ণই। তবে বিনিয়োগকারীরা যদি কোন কারণে ভবিষ্যতে এ কোম্পানি ভালো করবে এমন ধারণা করে তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও অনেকে বিনিয়োগ করেন।
 
ডিএসইর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পিই রেশিও অবস্থান করছে আরএকে সিরামিকসের। এ কোম্পানির পিই রেশিও ৫৮৭। অর্থাৎ বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে আয় দিয়ে এ কোম্পানিতে করা বিনিয়োগ ফিরে আসতে সময় লাগবে ৫৮৭ বছর। এরপরই সর্বোচ্চ পিই রেশিও এটলাস বাংলাদেশের। কোম্পানিটির পিই রেশিও ৩৪০। মুন্নু সিরামিকসের পিই রেশিও ৩১৪। ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টসের পিই রেশিও ২১৩। তাল্লু স্পিনিংয়ের পিই রেশিও ২০৯। এছাড়া বিএসআরএমের পিই রেশিও ১৭৮, প্রিমিয়ার লিজিংয়ের ১৩৮, মুন্নু স্ট্যাফলার্সের ১৩২, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের ১৩১, বিএসসির ১২৯, আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১২৯, হাক্কানি পাল্পের ১২২, বাংলাদেশ ল্যাম্পসের ১১৫ এবং বিডি ওয়েল্ডিংয়ের ১০৮।
 
আর বিডি অটোকারস, বীকন ফার্মা, দেশ গার্মেন্টস, ন্যাশনাল টি, লিব্রা ইনফিশনস এবং কাশেম ড্রাইসেলের পিই রেশিও একশর নিচে হলেও আটাশির ওপরে।
 
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হয় কোম্পানির মুনাফা ও ডিভিডেন্ড দেয়ার প্রবণতার উপর ভিত্তি করে। সে হিসেবে যখন কোন কোম্পানির মুনাফা কমে যায় তথা ডিভিডেন্ড দেয়ার সম্ভাবনা কমে যায় তখন সে কোম্পানির শেয়ারদরও কমে যায়।
 
কিন্তু পিই রেশিও উচ্চ হওয়াতে বুঝা যাচ্ছে আয় প্রবণতা কমলেও এ কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর সে তুলনায় কমেনি। তবে এর পেছনে কিছু কারণও থাকতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
 
তারা বলছেন, কয়েকটি কোম্পানি হঠাৎ করে লস করায় পিই রেশিও অনেক বেড়ে গেছে। এ কোম্পানিগুলো দ্রুতই মুনাফায় ফিরে আসতে পারে। তাই হয়তো বিনিয়োগকারীরা এ কোম্পানিগুলো থেকে বিনিয়োগ তুলেননি।