ডরিন পাওয়ারের ৬ মাসের স্থগিতাদেশ স্থগিত

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমসের প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) উপর হাইকোর্টের দেওয়া ৬ মাসের স্থগিতাদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার জজ।
আজ রোববার চেম্বার জজ বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের ওপর ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন। নতুন কোন আদেশ না হলে এ সময়ের মধ্যে আইপিও আবেদন গ্রহণ করতে পারবে ডরিন পাওয়ার।
কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আফরোজ আলম বলেন, ‘৪ সপ্তাহের জন্য এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন আইপিও কার্যক্রম পরিচালনায় আপাতত কোন বাধা নেই। তবে আইনগত জটিলতা নিরসনে ৪ সপ্তাহ পরে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।’ এরপরে সব সমাধান হয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কবে নাগাদ ফের আইপিও আবেদন শুরু হবে জানতে চইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সিদ্ধান্ত জানাবে।’
এর আগে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমসের আইপিও আবেদন জমার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে দেশের ২ পুঁজিবাজারকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। অবশ্য গত বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) উভয় ইস্যু ম্যানেজার বরাবর এ বিষয়ক একটি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডরিন পাওয়ার কোম্পানির আইপিও আবেদনের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। এর আগে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমসের আইপিও আবেদন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আইনজীবী মো. তৌফিকুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টে মূল ভবনের ১৪ নম্বর কোর্ট বিচারপতি মো. জুবাইর রহমান চৌধুরী ও মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ। একইসঙ্গে কেন এই আইপিও আবদেন গ্রহণ অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
ওই সময়ে বাদী পক্ষের আইনজীবী তৌফিকুল ইসলাম জানান,ডরিন কোম্পানিটি বিপুল পরিমাণ ঋণে জর্জরিত। পাবলিকের টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন না বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা। তার উপর অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নিচ্ছে। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেরক্ষাসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ডরিন পাওয়ারের এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করতে আইপিও কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত বলে জানান তিনি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি আইপিও আবেদন গ্রহণ করা শুরু করেছিল ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলার কথা ছিল। গত ৩০ নভেম্বর বিএসইসির ৫৬০তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। গত ৩০ নভেম্বর ডরিন পাওয়ার আইপিও‘র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর এ কোম্পানির আইপিও কার্যক্রম স্থগিত করতে গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে রিট করেন বেশকিছু বিনিয়োগরী।