ডরিনের আইপিও কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ: বিএসইসি

ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমসের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন জমার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে দেশের ২ পুঁজিবাজারকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
অবশ্য গত বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) উভয় ইস্যু ম্যানেজার বরাবর এ বিষয়ক একটি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
সূত্র মতে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডরিন পাওয়ার কোম্পানির আইপিও আবেদনের সব কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ওই চিঠিতে। এর আগে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমসের আইপিও আবেদন স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
আইনজীবী মো. তৌফিকুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি এই স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্টে মূল ভবনের ১৪ নম্বর কোর্ট বিচারপতি মো. জুবাইর রহমান চৌধুরী ও মো. খসরুজ্জামানের বেঞ্চ। একইসঙ্গে কেন এই আইপিও আবদেন গ্রহণ অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এ প্রসংঙ্গে বাদী পক্ষের আইনজীবী তৌফিকুল ইসলাম দ্যাঢাকাপোষ্ঠডটকমকে জানান,ডরিন কোম্পানিটি বিপুল পরিমাণ ঋণে জর্জরিত। পাবলিকের টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারেন না বলে মনে করেন বিনিয়োগকারীরা।
তার উপর অতিরিক্ত প্রিমিয়াম নিচ্ছে। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থেরক্ষাসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে ডরিন পাওয়ারের এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করতে আইপিও কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন উচ্চ আদালত বলে জানান তিনি।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি আইপিও আবেদন গ্রহণ করা শুরু করেছিল ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তা চলার কথা ছিল। গত ৩০ নভেম্বর বিএসইসির ৫৬০তম সভায় কোম্পানিটিকে আইপিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। গত ৩০ নভেম্বর ডরিন পাওয়ার আইপিও‘র মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ২ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে ৫৮ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। আর এ কোম্পানির আইপিও কার্যক্রম স্থগিত করতে গত বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে রিট করেন বেশকিছু বিনিয়োগরী।
একাধিক সিকিউরিটিজ হাউজ সূত্রে জানা যায়, ডরিন পাওয়ার কোম্পানির আবেদন স্থগিত হওয়ার আগে সকালে যেসব বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন, তারা চাইলেই ‘আইপিও আবেদনের টাকা তুলে নিতে পারেন’।
কারন আগে ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদনে আইপিওর টাকা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হতো। আইপিও লটারির ড্র হওয়ার পর কোম্পানি ‘রিফান্ড’ করে টাকা ফেরত দিত। এখন সিকিউরিটিজ হাউজের মাধ্যমে আবেদন করায় টাকা বিনিয়োগকারীদের পোর্টফলিওতে জমা থাকে। শেষদিন বা লটারির আগের দিন আবেদনের আইপিও টাকা ব্লক করে দেয়া হয়। ‘বর্তমানে লটারিতে বিজয়ী হলে টাকা বিনিয়োগকারীদের কোড থেকে কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয়। অন্যদিকে লটারিতে জয়ী না হলেও টাকার ওপর ব্লক তুলে দেয়া হয়। কাজেই যারা ইতোমধ্যে আবেদন করেছেন- তারা চাইলেই টাকা তুলে নিতে পারবেন। তাদের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই বলে জানান তারা।