English Version
আপডেট : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ১৬:২৮

দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনুমান নির্ভর মন্তব্য না করার আহ্বান: টিটু

নিজস্ব প্রতিবেদক
দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনুমান নির্ভর মন্তব্য না করার আহ্বান: টিটু

শেয়ারবাজারকে কেন্দ্র করে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অনুমান নির্ভর মন্তব্য না করার আহ্বান জানান ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম টিটু।

মতিঝিলে ডিএসই মেম্বারস ক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

টিটু বলেন, ‘২০১০ ও ১৯৯৬ সালের শেয়ারবাজার ধস নিয়ে যৌক্তিক বা তথ্যভিত্তিক কোনো রিপোর্ট এখনও আসে নাই।  ফলে দীর্ঘসময় অতিবাহিতর পরও দোষীদের শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এরপরও দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে তা আমাদের কাছে গভীর ষড়যন্ত্রের চক্র হিসেবে মনে হয়।’

টিটু বলেন, ‘গত ২৫ তারিখ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগের বিষয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এই বিষয়ে দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে কেউ কেউ এ নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন। এ মন্তব্যের ফলে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ফলে ২৫ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পযন্ত কয়েকদিনে শেয়ারবাজারের বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। তাই অনুমান করে কোনো মন্তব্য করা ঠিক না। কারণ এতে শেয়ারবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা’

টিটু আরও বলেন, ‘তিতাস গ্যাস তালিকাভুক্ত কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও টেরিফ কমানোর বিষয়টি এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এনার্জি রেগুলেটর কমিশন। এ বিষয়ে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাথে আলোচনা করা হয়নি। এ ছাড়া টেরিফ কমানোর বিষয়টি গোপন রাখা হয়। যাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন ও ডিএসই তালিকাভুক্তি রুলস ভঙ্গ হয়েছে বলে মনে করি।’ পাশাপাশি বলেন, তিতাস গ্যাস কোম্পানি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শেয়ারপ্রতি প্রায় ৯ টাকা আয় করে। কিন্তু ডিভিডেন্ড ঘোষণা করে ১৫ শতাংশ। যে কোম্পানিটি আগে ধারাবাহিকভাবে ৩০ শতাংশ বা তার ওপরে ডিভিডেন্ড প্রদান করে। সেই কোম্পানির এ আচরণে কোম্পানিটিসহ তালিকাভুক্ত সরকারি আরও ৬টি কোম্পানির উপরেও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। দেখা গেছে ৩০ আগস্ট সরকারি ৭ কোম্পানির বাজার মূলধন ছিল ১৮ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। যা ৩ ফেব্রুয়ারি ৫ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৫৩৮ কোটি টাকায়।

বিনিয়োগকারীরা বাজারের প্রতি আস্থা ফিরে পেতে এসময়ে আহসানুল ইসলাম টিটু তিন দাবি উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো: সরকারী মালিকানাধীন কোম্পানি (তিতাস গ্যাসের মতো অন্যান্য কোম্পানি) ব্যবসায়িক সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বিএসইসি এবং ডিএসইর সঙ্গে আলোচনা করা, সরকার বা নীতিনির্ধারণী মহলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কোনো প্রকার নির্ভুল তথ্য ও প্রমাণ ছাড়া শেয়ারবাজার সংক্রান্ত কোনো প্রকার নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা এবং আইপিও প্রাইসিং এর বিষয়ে ইস্যু ম্যানেজারদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা। 

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন—ডিএসইর সাবেক পরিচালক খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন মুন্নি, মিনহাজ মান্নান ইমন, ডিবি ‘র পরিচালক  মোস্তাক আহমেদ সাদেক, শাহেদ আব্দুল খালেক, শরীফ আতাউর রহমান, মিজানুর রহমান খান, ট্রেকহোল্ডার রেদোয়ান আহমেদ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।