একমি’র ইস্যু মূল্য ৮৫.২০ টাকা

একমি ল্যাবরেটরিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) জন্য ৮৫.২০ টাকা ইস্যু মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। একমি’র শেয়ার দর নির্ধারণে নিলামে অংশ নেওয়া ১৯৩টি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। এর মধ্যে ১৭৮টি প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ দরে শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। বিপরীতে সর্বনিম্ন দর ৫৭ টাকায় ২ লাখ শেয়ার কেনার প্রস্তাব দিয়েছে একটি প্রতিষ্ঠান। কোম্পানির সূত্রে জানা যায়।
গত ৭ ডিসেম্বর একমি ল্যাবরেটরিজের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের প্রতিটি শেয়ারের নির্দেশক মূল্য ৭১ টাকা অনুমোদন করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর পর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বুক বিল্ডিংয়ের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত শেয়ারের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
বিডিং প্রক্রিয়ায় এ শেয়ারের সর্বনিম্ন দর ৫৬.৮০ টাকা ও সর্বোচ্চ ৮৫.২০ টাকা মধ্যে যেকোনো প্রস্তাব দেওয়ার সুযোগ ছিল বিনিয়োগকারীদের। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির পর আইপিওর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য শেয়ার বরাদ্দে প্রসপেক্টাস প্রকাশ করবে কোম্পানি।
এর আগে একমি ল্যাবরেটরিজ বিডিংয়ের জন্য ইলিজিবল ইন্সটিউশনাল ইনভেস্টটরদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছিল ২৪ জানুয়ারি। এবং রেজিস্ট্রেশন শেয় হয়েছিল ৩১ জানুয়ারি বিকেল ৪টায়। কোম্পানিটি ইলিজিবল ইন্সটিটিউশনাল ইনভেস্টটরদের রেজিস্ট্রেশন শেষ করে এ কোম্পানির বিডিংয়ে অংশগ্রহন করেছে। আর এ জন্য ডিএসই লিমিটেডের অনুকুলে প্রতিটি বিডিংয়ের জন্য ৫ হাজার টাকা পে-অর্ডার করে।
বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন পাওয়া একমি ল্যাবরেটরিজের বিডিং বা নিলাম শুরু হয়েছিল গত ১ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ৩টায়। এবং টানা ৪৮ ঘণ্টার পর শেষ হয় ৩ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ৩টায়। নিলামের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা যে দাম নির্ধারণ করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ওই দামে শেয়ার কিনবে হবে।
এর আগে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নির্দেশিত মূল্য দিয়েছিল ৮০ টাকা। এই তিন দিনের নিলামে তারা সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ কম বেশি দরে নিলামে অংশ নিতে পারবে। ধারনা করা হয়েছিল এটি সর্বোচ্চ ৯৬ টাকা ও সর্বনিম্ম ৬৪ টাকা নামতে পারে। এখানে নির্ধারিত দাম পরবর্তীতে বিএসইসিতে জমা দিতে হবে। বিএসইসি তা অনুমোদন দিলে ওই দামে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আইপিওতে আবেদন করবে।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ৫ কোটি সাধারণ শেয়ার ছেড়ে মূলধন সংগ্রহ করবে। কোম্পানিটি পুঁজি উত্তোলন করে ৩টি নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) খরচ খাতে ব্যয় করবে এই কোম্পানিটি।
৩০ জুন ২০১৪ সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫.৬৫ টাকা আর শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ৬৬.১৬ টাকা। বিএসইসির ৫৬১তম সভায় এই কোম্পানির বিডিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড। এবং রেজিষ্টার টু দ্য ইস্যু হলো প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।