English Version
আপডেট : ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৭:১৫

লোকসানে নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা সুহৃদ

মোহাম্মদ অানিসুজ্জামন
লোকসানে নো ডিভিডেন্ড ঘোষণা সুহৃদ

লোকসান গুনেছে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ। লোকসান কারণে সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি কোম্পানিটি। কোম্পানির সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

কোম্পানির সূত্রে, ২০১৫ সালের ৩০ জুনে সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটি ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা লোকসান দিয়েছে। শেয়ারপ্রতি এই লোকসানের পরিমাণ ছিল ৩ পয়সা। এর ফলে চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি বুধবার অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় ‘নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণা করা হয়। 

বিনিয়োগকারীদের নো ডিভিডেন্ড দেওয়ায় তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে ‘জেড’ ক্যাটগিরিতে অবনমিত হচ্ছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি থেকে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে অবনমনের বিষয়টি কার্যকর হবে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে জানা গেছে।

লোকসানের বিষয়টি জানতে চাইলে কোম্পানি চেয়ারম্যান আনিস আহমেদ দ্যাঢাকাপোষ্ঠডটকমকে বলেন, প্রধান তিনটি কারনে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজে লোকসান গুনছে।  প্রথম কারন বিরোধের জের ধরে কোম্পানির এক মামলা। দ্বিতীয়ত কোম্পানিটি দীর্ঘদিন কোনো ধরনের এলসি খুলতে পারিনি। আর তৃতীয় কারন সরকার থেকে নতুন গ্যাস সংযোগ না পাওয়া।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উৎপাদিত পণ্যের মধ্যে প্রধান হচ্ছে ফিল্ম শিট। ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল প্যাকেজিংয়ের জন্য ওষুধ শিল্পে এটি ব্যবহার করা হয়। এটি উৎপাদনে যে কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় তা বিদেশ থেকে (থাইল্যান্ড, ইতালি, চীন) আমদানি করতে হয়। কিন্তু প্রায় ১০ মাস এলসি করতে না পারার কারণে আমরা কাঁচামাল আমদানি করতে পারিনি। আমাদের ফ্যাক্টরি বন্ধের উপক্রম হয়েছিল।

অাবার সরকার থেকে নতুন গ্যাস সংযোগ না পাওয়ায় উৎপাদনের জন্য অামরা পল্লী বিদ্যুৎতের উপর নির্ভর হয়। আর এ পল্লী বিদ্যুৎ দিয়ে আমাদের গ্রাহক চাহিদা মোটানো সম্ভব হয়নি। এরপর কোম্পানির এক মামলা দীর্ঘদিন থাকায় কোম্পানির অর্থ ব্যয় হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালকদের কাজসহ মানষিক শক্তিও ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়। সব মিলিয়ে কোম্পানিটি লোকসান গুনতে হচ্ছে।

তবে এখন কোম্পানিটি ঝামেলা মোটামোটি শেষ হয়েছে। এবার লোকসানে নো ডিভিডেন্ড ঘোষনা দিলেও সামনে এই অবস্থা পরিবর্তন হবে। এবং সামনে বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে, ২০১৪ সালের ৩০ জুনে সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। ওই বছর কোম্পানিটি করপরবর্তী মুনাফা করেছিল ৫ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ও শেয়ারপ্রতি আয়ের পরিমাণ ছিল ১.৬৪ টাকা। ২০১৪ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ১ কোটি ৪০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজের লেনদেন শুরু হয়।