English Version
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৫:০৭

ফান্ড অবসায়নে স্থিতিবস্থা জারি, শুনানি পহেলা ফেরুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
ফান্ড অবসায়নে স্থিতিবস্থা জারি, শুনানি পহেলা ফেরুয়ারি

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের অবসায়ন বা রূপান্তরে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশনার বৈধতার বিষয়ে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ফের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। শুনানি না হওয়া পর্যন্ত মিউচুয়াল ফান্ডের অবসায়ন বা রূপান্তরের বিষয়ে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে গঠিত পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে রবিবার শুনানি শেষে ১৮ জানুয়ারি সোমবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছিলেন আদালত। আজ নতুন করে শুনানির তারিখ ও মিউচুয়াল ফান্ডের বর্তমান স্থিতিবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ইউনিট হোল্ডারদের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন বলেন, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ মামলাটিকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থিতি অবস্থা দিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) সিভিল পিটিশন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এটা দাখিল করা হলে মামলাটি পুনরায় ১ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হবে।

মামলায় বিএসইসি ছাড়াও ইউনিট হোল্ডারদের পক্ষে আইনি লড়াই করছে ফান্ড দুটির ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান বিজিআইসি। একইসঙ্গে মামলায় আইনি লড়াই করছে ৫ ইউনিট হোল্ডার প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠানগুলো হল- ইউসিবিএল ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস, ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ এবং ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ বছরের বেশি মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড অবসায়ন বা রূপান্তরে বিএসইসির নির্দেশনার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট করেন আলী জামান নামে এক বিনিয়োগকারী।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ফান্ড দুটির ইউনিট হোল্ডার সম্মেলনে বেশিরভাগ ইউনিট হোল্ডার এ দুটি ফান্ডের অবসায়নের পক্ষে মত দেন। এ অনুসারে ফান্ড দুটির ট্রাস্টি অবসায়নের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে। কিন্তু পুরো বিষয়টি এলোমেলো হয়ে যায় আলী জামান নামের জনৈক বিনিয়োগকারীর মামলায়। নির্দিষ্ট মেয়াদের পর মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ড অবসায়ন অথবা বে-মেয়াদি ফান্ডে রূপান্তরের আইনী বাধ্যবাধকতাকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

অভিযোগ উঠে, এই আইনী জটিলতা সৃষ্টির নেপথ্যে রয়েছে খোদ সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান। ফান্ড দুটির তহবিল ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এইমস অব বাংলাদেশ এর আগে ক্লোজইন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডে বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে পুরো সেক্টরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে।

এইমস ফার্স্ট গ্যারান্টেড মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং গ্রামীণ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের স্কিম ওয়ানের অবসায়ন জটিলতায় ইউনিট হোল্ডারদের স্বার্থরক্ষায় মাঠে নেমেছে ট্রাস্টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (বিজিআইসি)। প্রতিষ্ঠানটি এ সংক্রান্ত মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছে।