নতুন বছরের সুবাতাশ পুঁজিবাজারে

দীর্ঘদিনের লেনদেন খড়া দুর করে নতুন বছরের সুবাতাশ বইছে দেশের উভয় পুঁজিবাজারে। প্রায় পাঁচ মাস বা ১০২ কার্ষদিবস মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেন আজ সর্বোচ্চ হয়েছে। লেনদেনের বাড়ার একই চিএ চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদ্যমান। আবার উভয় বাজারে আজ সূচকও ছিল উধ্বগতি। এই ধরনের লেদেনের বাড়াসহ সূচক উধ্বগতি বাজারের জন্য ইতিবাচক বলে মনে করেন পুঁজিবাজার বোদ্ধারা।
তাদের মতে, ডিএসইতে এ বছরের শুরুর লেনদেন তিন’শ কোটির টাকার ঘরে থাকলেও এখন তা ছয়’শ কোটি ঘরে ওঠে এসেছে। আবার সিএসইতে এ বছরের শুরুর লেনদেন ত্রিশ কোটির টাকার ঘরে থাকলেও এখন তা চল্লিশ কোটি ঘরে। এ যেন নতুন বছরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের পালে হাওয়া লেগেছে।
আবার চলতি বছরে প্রথম দিনে সূচক ছিল ৪৬২৪ পয়েন্ট। আজ চতুর্থ কার্যদিবসে এই সূচক বেড়ে দ্বাড়িয়েছে ৪৬৭৯ পয়েন্টে। এসময়ে ব্যবধানে সূচক বেড়েছে ৫৫ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজারে সিএসইতে এসময়ে সূচক বেড়েছে ১০৪ পয়েন্ট। উভয় সূচক উধ্বমূখীতে বলা যায় চলতি বছরের পুঁজিবাজার ইতিবাচক হিসেবে দেখা যাচ্ছে বলে মনে করেন তারা।
লেনদেন বাড়ার বিষয়ে ডিএসইর সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমান পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, নতুন বছরকে ঘিরে বাজারে এক ধরনের প্রত্যাশা তৈরী হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। পাশাপাশি বর্তমান বাজার পূর্বের চেয়ে পরিপক্ক হয়েছে। অতীতের ঝড় রোধ করে ডিএসই আগাচ্ছে। তাই সামনে ডিএসই‘র সুদিন রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
পুঁজিবাজার অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইতে ৩৬৬ কোটি ৪২ লাথ টাকা লেনদেন হলেও মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে তা ৬৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বুধবার দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৬৫৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। এটি গত ৫ মাসের বা ১০২ কার্যদিবসের মধ্যে ডিএসইর সর্বোচ্চ লেনদেন হিসেবে গন্য হয়েছে। এর আগে ডিএসইতে ২০১৫ সালের ১০ আগস্ট সর্বোচ্চ ৬৬০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও লেনদেন বাড়ছে। বুধবার স্টক এক্সচেঞ্জটিতে ৪০ কোটি টাকার বেশী লেনদেন হয়েছে।
এদিকে টানা তৃতীয় দিনের মতো সূচকের উত্থানে শেষ হয়েছে দিনের লেনদেন। বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৩৬.৫৫ পয়েন্ট। দিনশেষে সূচক গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৭৯.৮০ পয়েন্টে। মঙ্গলবার সূচক বেড়েছিল ২৫.৫২ পয়েন্ট। লেনদেনে অংশ নেয়া ৩২১টি ইস্যুর মধ্যে দিনশেষে দর বেড়েছে ২০৯টির, কমেছে ৮৭টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর।
লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার। দিনশেষে কোম্পানিটির ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকোর লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ৭ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- বেক্সিমকো ফার্মা, এমারল্ড অয়েল, ইফাদ অটোস, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, কেডিএস এক্সেসরিজ, বিডি থাই, সামিট পাওয়ার, আল আরাফাহ ব্যাংক।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সিএসসিএক্স ৫৩.৯৪ পয়েন্ট বেড়ে দিনশেষে ৮৬৯২.৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেওয়া কোম্পানি ও মিউচুয়ালফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৫টির, কমেছে ৬২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দর।