ডিএসইতে লেনদেন কমেছে

বিদায়ী বছরের শেষ সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে। বছরের শেষ সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৯৩৮ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা। এ হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ২৪৮ কোটি টাকা বা ১১.৩৫ শতাংশ।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে গড় লেনদেন হয়েছে ৩৮৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে গড় লেনদেন হয়েছিল ৪৩৭ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন কমেছে ৪৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯০.৮৫ শতাংশ হয়েছে ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে। ৩.৬৭ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ৪.৮২ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ০.৬৬ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩২৬টি ইস্যুর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৭টির, কমেছে ১৫৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দর।
বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দর কমলেও আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর সূচক ডিএসইএক্স সামান্য পরিমাণ বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় সূচক বেড়েছে ২১.৩২ পয়েন্ট। সূচক বাড়ার এ হার ০.৪৬ শতাংশ। ৪৬০৮.৩২ পয়েন্ট দিয়ে যাত্রা শুরুর পর সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬২৯.৬৪ পয়েন্টে। এদিকে আগের সপ্তাহে সূচক বেড়েছিল ৮৭.৪৫ পয়েন্ট।
এছাড়া ডিএসইত্রিশ সূচক ০.১৮ শতাংশ বা ৩.১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৭৫০.৫৯ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক ০.০৬ শতাংশ বা ০.৬৪ পয়েন্ট বেড়ে সপ্তাহ শেষে ১১০৭.১২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ০.২৮ শতাংশ। সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকায়।
সপ্তাহ শেষে লেনদেনের শীর্ষে রয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা। সপ্তাহজুড়ে এ কোম্পানির ৬৮ কোটি ২৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সপ্তাহের মোট লেনদেনের ৩.৫১ শতাংশ লেনদেন হয়েছে এ কোম্পানির।
লেনদেনে এরপর রয়েছে যথাক্রমে- কাশেম ড্রাইসেল, এমারল্ড অয়েল, এসিআই, বেক্সিমকো লিমিটেড, স্কয়ার ফার্মা, সিঙ্গার, সামিট অ্যালোয়েন্স পোর্ট, বিএসআরএম স্টিল, কেডিএস এক্সেসরিজ।