English Version
আপডেট : ২ মে, ২০২৪ ১৭:১৮

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যলয়গুলোতে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ বাড়ছেই

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যলয়গুলোতে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ বাড়ছেই

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা বাড়ছেই। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিলটন হল প্রশাসনিক ভবনের কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভকারীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় অসংখ্য পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় বহু শিক্ষার্থীকে। এদিকে, দক্ষিণ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সপ্তাহ দুয়েক আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোয় তাঁবু টানিয়ে চলছে বিক্ষোভ। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁবু সরিয়ে নিতে এবং বিক্ষোভ বন্ধ করতে সোমবার পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সময় বেঁধে দিয়েছিল। বেঁধে দেওয়া সময়সীমা উপেক্ষা করেই চলছে বিক্ষোভ। এর জেরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করতে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরই হ্যামিল্টন হল দখল করেন বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভকারীরা ভবনে ‘হিন্দস হল’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলিয়ে দেন।

এক বিবৃতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ছয় বছরের শিশু হিন্দ রজবের সম্মানে তারা এ কাজ করেছেন।

হল দখল করার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর আরও কঠোর ব্যবস্থা নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ক্যাম্পাসে পুলিশ প্রবেশ করতে অনুমতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ধরপাকাড় চালায় পুলিশ। এসময় আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষ হয়। অবশেষে হলটি দখলে নেয় পুলিশ। পাশাপাশি ক্যাম্পাস থেকে আন্দোলকারীদের তাঁবু তুলে দেয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৭ই মে পর্যন্ত পুলিশকে সেখানে অবস্থান করার অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে হামলা বন্ধের দাবিতে জর্ডানে ইসরাইলি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। মধ্যরাতে উত্তাল হয়ে উঠে দূতাবাসের সামনের সড়ক।