English Version
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ১৭:৫৯

আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশী শিক্ষক-৬

অনলাইন ডেস্ক
আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশী শিক্ষক-৬

প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতাউল করিমঃ ইউনিভার্সিটি অব ম্যাসাচুসেটস ডার্টমুথের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আতাউল করিম (২০১৩ থেকে এখন পর্যন্ত)। এর আগে তিনি বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। যেমন ১৯৮২-১৯৮৩ পর্যন্ত ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব আরকানসাস, লিটলরক, ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত ক্যানসাসের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত ওহাইয়োর ইউনিভার্সিটি অব ডেটোনায়, ১৯৯৮ থেকে ২০০০ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব টেনিসি, নক্সভিলে, ২০০০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কে, ২০০৪ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ভার্জিনিয়ার ওল্ড ডমিনিয়ন ইউনিভার্সিটিতে। প্রফেসর করিম আমেরিকার ৭টি গুরুত্বপূর্ণ সোসাইটির নির্বাচিত ফেলো। যেমনঃ ১৯৯৩ সালে অপটিক্যাল সোসাইটি অব আমেরিকা, ১৯৯৫ সালে সোসাইটি অব ফটো-অপটিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টেশন ইঞ্জিনিয়ার্স, ২০০২ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সাইন্সেস, ২০০৬ সালে বৃটেনের ইন্সটিটিউট অব ফিজিক্স, ২০০৬ সালে ইন্সটিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, ২০০৯ সালে ইন্সটিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ২০২২ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এসোসিয়েশন।

ড. আতাউল করিমের জন্ম ১৯৫৩ সালের ৪ মে সিলেটে। তিনি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ ও সিলেট এমসি কলেজ থেকে যথাক্রমে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে অনার্সসহ বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব এ্যালাবামা থেকে পিএইচডি করেন।

ড. করিম কৈশোর থেকেই বাংলায় বিজ্ঞান বিষয়ে লিখছেন বিজ্ঞান সাময়িকী, বাংলা একাডেমি বিজ্ঞান পত্রিকাসহ অন্যত্র। পরে বাংলায় বেশ কয়েকটি বই প্রকাশিত হয় বিজ্ঞান বিষয়ে। তার গবেষণাধর্মী লেখা প্রকাশিত হয় আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে।

ড. সৈয়দা তনিমা হাদি

 নিউজার্সির স্টকটন ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সোশাল এন্ড বিহেভিয়োরিয়াল সাইন্সের ক্রিমিনাল জাস্টিসের এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. সৈয়দা তনিমা হাদি ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই থেকে মাস্টার্স এবং একই ইউনিভার্সিটি থেকে ২০১১ সালে পিএইচডি করেন। ড. তনিমা হাদি স্ককটন ইউনিভার্সিটিতে গ্রাজুয়েট ক্লাসে ক্রাইম, ড্যাটা এন্ড এনালিসিস এবং আন্ডারগ্র্যাড ক্লাসে থিয়োরিজ অব ক্রিমিনালিটি পড়ান।

এর আগে ড. হাদি নিউইয়র্কের হফস্ট্রা ইউনিভার্সিটিতে ২০২১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২এর আগস্ট পর্যন্ত এক বছর ক্রিমিনোলজি ডিপার্টমেন্টে স্পেশাল এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ছিলেন। ২০১৬ থেকে ২০২১ পর্যন্ত তিনি নিউইয়র্কের সেন্ট জন্স, কুইন্স কলেজ, ন্যাসাউ কলেজ ও ইয়র্ক কলেজে এডজাংক্ট এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তার আগে ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে সোশিওলজি ও কম্যুনিকেশন ডিপার্টমেন্টে সিনিয়র লেকচারার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

নিউইয়র্কের রাউটলেজ হ্যান্ডবুক অব ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম এন্ড জাস্টিস স্টাডিজে তার লেখা ‘Silence and the Criminalization of Victimization: On the need for an International Feminist Criminology’ শিরোনামে অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তার লেখা ছাপা হওয়ার পাশাপাশি ড. হাদি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনার ও সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ম্যানহ্যাটান কলেজ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের ওল্ড ওয়েস্টবারি ক্যাম্পাস।

ড. সৈয়দা তনিমা হাদি আমেরিকান সোসাইটি অব ক্রিমিনোলজি ও ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টার (হনলুলু) পার্টিসিপ্যান্টস এসোসিয়েশনের সদস্য। ব্যক্তিজীবনে তনিমা হাদি একজন সংগীত শিল্পী। তিনি বাংলাদেশের প্রথিতযশা সংগীত শিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদির কন্যা।

ড. মো. জাকিরুল আলম ভুঁইয়া

নিউইয়র্কের ফোর্ডহ্যাম ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব কম্প্যুটার এন্ড ইনফর্মেশন সার্ভিসের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মো. জাকিরুল আলম ভুঁইয়া। তিনি এই ইউনিভার্সিটির ডিপেনডেবল এন্ড সেক্যুর সিস্টেম রিসার্চ ল্যাব এবং ফোর্ডহ্যাম সেন্টার ফর সাইবার সিকিউরিটির ডিরেক্টর। তাঁর গবেষণার মূল ফোকাস হলো সাইবার সিকিউরিটি, ড্যাটা ড্রিভেন ডিপেনডেবিলিটি, ট্রাস্টওয়ার্থি এআই, এমএল এবং ইমার্জিং সিপিএস/এলওটি এ্যাপ্লিকেশন্স।

মো. জাকিরুল আলম ভুঁইয়া ২০০৬ সালে চাইনিজ সরকারের এশিয়া ফরেইন স্কলারশিপ লাভ করে সে দেশ থেকে মাস্টার্স করেন এবং তার অসাধারণ একাডেমিক সাফল্যের জন্য চাইনিজ সরকারের ফুল স্কলারশিপ পেয়ে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। চীনে পড়ালেখার সময় তিনি ডিসটিংগুইশড ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট এওয়ার্ড, এক্সিলেন্ট মাস্টার ডিগ্রি ডিসার্টেশন এওয়ার্ড, আউটস্ট্যান্ডিং মাস্টার ডিগ্রি ডিসার্টেশন এওয়ার্ড পান। এছাড়াও ২০১২ সালে ড. ভুঁইয়া চীনের সেন্ট্রাল সাউথ ইউনিভার্সিটির চতুর্দশ একাডেমিক কনফারেন্স অব স্কুল অব ইনফর্মেশন, সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংএ বেস্ট পেপার এওয়ার্ড পান। ২০১৫ সালে আউটস্ট্যান্ডিং পিএইচডি থিসিস এওয়ার্ড পাওয়া ছাড়াও চীনের ন্যাশনাল সাইন্স ফাউন্ডেশন প্রদত্ত ইয়াং সাইন্টিস্ট অব দ্য ইয়ার এওয়ার্ড পান ২০১৫ সালে।

ডা. জাকিরুল ভুঁইয়া অসংখ্য সাইন্টিফিক পেপার রচনা ও প্রকাশ ছাড়াও ২৪টি আন্তর্জাতিক সাইন্স জার্নালে গেস্ট এডিটর, লিড গেস্ট এডিটর, এসোসিয়েট এডিটর ও প্রসিডিংস এডিটর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রফেশনাল সোসাইটির সদস্য, কনফারেন্স অর্গানাইজেশনের জেনারেল চেয়ার ও প্রোগ্রাম চেয়ার, প্যানেলিস্ট, ট্র্যাক চেয়ার, ওয়ার্কশপ চেয়ার, পাবলিসিটি চেয়ার, সেশন চেয়ার হিসাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

ড. জাকিরুল ভুঁইয়া অস্ট্রেলিয়ার ৫টি এবং ভারতের একটি ইউনিভার্সিটির পিএইচডি থিসিসের এক্সটার্নাল একজামিনার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১৫ ও ২০১৬ সালে। এর বাইরে তিনি সৌদি আরবের কিং সউদ ইউনিভার্সিটি এবং মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি ফাহাংএর ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ প্রজেক্ট কনসালট্যান্ট।