English Version
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:৪০

মেয়াদ বাড়িয়ে খাবার বিক্রি করছে ‘আজোয়া’

অনলাইন ডেস্ক
মেয়াদ বাড়িয়ে খাবার বিক্রি করছে ‘আজোয়া’

পণ্যের মোড়কে লেখা উৎপাদন মেয়াদ বাড়িয়ে খাবার বিক্রি করার অপরাধে ‘আজোয়া’ নামের একটি বেকারী প্রতিষ্ঠানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় অভিযানে যায় ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে ‘আজোয়া’য় অভিযান চালানো হয়। এসময় বেকারী পণ্যের মোড়কে লেখা উৎপাদন তারিখ পরিবর্তন করে চলতি তারিখ দেয়ার অপরাধে অধিদপ্তর আইনের ৩৭ ধারায় দোষী সাবস্ত করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নগদে সেই টাকা আদায় করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৭ ধারায় বলা রয়েছে:পণ্যের মোড়ক, ইত্যাদি ব্যবহার না করা: কোন আইন বা বিধি দ্বারা কোন পণ্য মোড়কাবদ্ধভাবে বিক্রয় করার এবং মোড়কের গায়ে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, ব্যবহারবিধি, সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয় মূল্য, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেটজাতকরণের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করলে অনুর্ধ্ব এক বছরের কারাদণ্ড বা অনাধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

এর আগে গোল্ডেন স্টার হোটেলে অভিযানে ফ্রিজে বাসি খাবার, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি এবং বোরহানির মেয়াদ না থাকার অপরাধে অধিদপ্তর আইনের ৪৩ ধারায় দোষী সাবস্ত করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নগদে সেই টাকা আদায় করা হয়।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ধারায় বলা হয়েছে:অবৈধ প্রক্রিয়ায় পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ: মানুষের জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি হয় এমন কোন প্রক্রিয়ায়, যা কোন আইন বা বিধির অধীনে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কোন পণ্য উৎপাদন বা প্রক্রিয়াকরণ করা হলে অনুর্ধ্ব দুই বছরের কারাদণ্ড বা অনাধিক এক লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে।

এছাড়া মি. কুক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়েও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরে নিত্যপণ্যের বাজার পরিদর্শন করে চাল, চিনি,পেঁয়াজ, কাঁচা সবজি, পোল্ট্রি, ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য, পণ্য ক্রয়-বিক্রয় রসিদ, পণ্যের মূল্য তালিকা পযবেক্ষণ করা হয়। এসময় বাজারে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রয়, পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ সংরক্ষণ, মূল্য তালিকা প্রদর্শনের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের হ্যান্ডমাইকে সতর্ক করা হয়।

ঢাকা মহানগরীতে অধিদপ্তরের ৩টি টিম কর্তৃক অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, উপ-পরিচালক বিকাশ চন্দ্র সাহা এবং ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রোজিনা সুলতানা।