English Version
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২১ ১৫:৪০

রাজধানীতে কঠোর লকডাউনেও রাস্তায় মানুষের আধিক্য, নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীতে কঠোর লকডাউনেও রাস্তায় মানুষের আধিক্য, নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত ঈদ-পরবর্তী কঠোর বিধিনিষেধের চতুর্থ দিন চলছে। যদিও কঠোর লকডাউনে জরুরি পরিষেবা ছাড়া ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবুও রাজধানীর সড়কগুলোতে বেড়েছে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ। বেড়েছে মানুষের সংখ্যাও। অবাধে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছেন। সড়কে বেরিয়ে পড়া অনেক মানুষ স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না। সোমবার (২৬ জুলাই) কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এসময় দেখা যায় সিএনজি অটোরিকশা, ব্যক্তিগত গাড়ি আটকিয়ে দিয়ে জেরা করছে। বাইরে বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসাবাদ করছে তারা। রাজধানীর মূল সড়ক থেকে অলিতেগলিতে রয়েছে ভিন্ন চিত্র।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মহল্লার অলিতে গলিতে স্বাভাবিক মানুষের চলাচল। কাচা বাজারগুলোতে নেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বালাই। রাজধানীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের প্রবেশপত্র ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা আজ সকাল থেকে বেড়েছ। পুলিশের কড়াকড়ির মধ্যেও ব্যক্তিগত যানবাহনে ঢাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করছে কর্মজীবী মানুষেরা। যাত্রাবাড়ী এলাকার সব রাস্তায় সকাল থেকে হাজার হাজার মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কেউ ঢাকার বাইরে থেকে ফিরছেন, আবার কেউ যাচ্ছেন অফিসে। যাত্রাবাড়ী মোড়ে সকাল থেকে যেন মানুষের ঢল নেমেছে। অফিসগামী লোকজনসহ বিভিন্ন জরুরী কাজে রাস্তায় বের হওয়া মানুষজন যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। রিক্সায় ভ্যানে যে যেভাবে পারছেন সেভাবেই ফিরছেন তার গন্তব্যে। এসময় দেখা যায় ভ্যানে করে ৬/৭ জন গাদাগাদি করে যাচ্ছেন তার গন্তব্যে। কোন কোন চেকপোষ্টে পুলিশ ভ্যান থেকে এসব লোকজনকে নামিয়ে দিতেও দেখা যায়।

এদিকে আজ সকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জে শিমুলিয়া এবং মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটেও ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। সকাল থেকে মাদারীপুরের বাংলা বাজার থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে আসা প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের ভিড় বেড়েছে। একইসঙ্গে মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ রয়েছে। গণপরিবহন চলাচল না করলেও শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছোট ছোট যানবাহনে এবং ভেঙে ভেঙে লোকজন ঢাকায় চলে আসছে। মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকাতেও ঢাকামুখী মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি ও প্রচুর সংখ্যক মোটরসাইকেল পারাপার হয়ে ঢাকায় ফিরছে।

ঈদুল আজহা ও পশুরহাটে কেনাবেচার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ১৫ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করেছিল সরকার। আট দিন বিরতির পর ২৩ জুলাই ভোর ছয়টা থেকে দুই সপ্তাহের জন্য ফের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার, যা চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। বিধিনিষেধ চলাকালে কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।