English Version
আপডেট : ৮ জুলাই, ২০২১ ১৬:৫৮

চলছে কঠোর লকডাউন, সড়কে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ির দাপট

অনলাইন ডেস্ক
চলছে কঠোর লকডাউন, সড়কে চলছে ব্যক্তিগত গাড়ির দাপট

দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ এবং মৃত্যু- দুটিরই হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিশেষ করে দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে করোনা রীতিমত তাণ্ডব চালাচ্ছে। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দ্বিতীয় দফা সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন আজ। সরকার চলাচলের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা চালু রয়েছে। ফলে কর্মজীবী মানুষগুলোকে প্রতিদিন অফিসে ছুটতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুলাই) সকালে ঢাকার সড়কে কিছুটা ঢিলেঢালাভাব দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ির দাপটে কোথাও কোথাও যানজট লেগে যায়। রিকশায় চড়েও অনেককে অফিস যেতে দেখা গেছে। সবমিলিয়ে সড়কে লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

লকডাউনেও ব্যাংক, বীমা, শেয়ারবাজার, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানা চালু রয়েছে। ফলে কর্মজীবী মানুষগুলোকে প্রতিদিন অফিসে ছুটতে হচ্ছে।

কর্মীদের অফিস যাতায়াতের জন্য কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান নিজস্ব পরিবহনের ব্যবস্থা করেছে। ভাড়া করা বড় বাসও রয়েছে এ তালিকায়। যাদের অফিসের নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা নেই তারা কেউ রিকশা, কেউ মোটরসাইকেলে, কেউ হেঁটে অফিস যাতায়াত করছেন। অবশ্য বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে ব্যক্তিগত গাড়ি।

বুধবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ২০১ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর দিনই সড়কে এত উপস্থিতি শঙ্কা বাড়াচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি লংঘন হচ্ছে যত্রতত্র।

সকালে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে দেখে গেছে, গণপরিবহন না চললেও আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবহন অনেক বেড়েছে। রাস্তায় মানুষের সংখ্যা লকডাউনের প্রথম সাতদিনের চেয়ে বেশি। মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলাচলও বেড়েছে।  

অনেকটা অবাধেই চলছে এসব ব্যক্তিগত গাড়ি। এর সঙ্গে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলেও যাত্রী নিয়ে অবাধে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। যেসব এলাকায় বিশেষ অভিযান চলছে না, সেখানে এসব ব্যক্তিগত গাড়ি, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চলাচলে কোনো ধরনের বাধা পেতে দেখা যায়নি।