English Version
আপডেট : ৩ জুলাই, ২০২১ ১১:৩৭

লকডাউনের তৃতীয় দিনে বেড়েছে মানুষ-যানবাহনের উপস্থিতি

অনলাইন ডেস্ক
লকডাউনের তৃতীয় দিনে বেড়েছে মানুষ-যানবাহনের উপস্থিতি

সরকার ঘোষিত দেশে শুরু হওয়া সাত দিনব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউনের (বিধিনিষেধ) তৃতীয় দিন চলছে। লকডাউন কার্যকরে মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র‌্যাব সদস্যরা। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে দেখা গেছে তাদের। আজ শনিবার সড়কে মানুষ ও যানবাহনের পাশাপাশি রিকশার তুলনামূলক উপস্থিতি বেড়েছে। তবে সেই সংখ্যা লকডাউনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নগণ্যই আছে।

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বের হলে গত দু’দিনের মতো ভ্রাম্যমাণ আদালত গ্রেফতার ও জরিমানা করছেন। এছাড়া জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিতরা পরিচয়পত্র দেখানো ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তল্লাসির সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানালে তারা তাদের গন্তব্যে বা কর্মস্থলে যেতে পারছেন।

শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে গত দুই দিনের তুলনায় কিছুটা মানুষ বেড়েছে। সেই সঙ্গে কিছু প্রাইভেট যানবাহন, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ ছাড়া অন্য যানবাহন চলতে দেখে যায়নি। কিছু কিছু অফিস খোলা থাকায় সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা অফিসের গাড়ি অথবা রিকশাযোগে চলাচল করছেন। সড়কে আজ রিকশার সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে।

লকডাউনের আগের দুই দিনে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বাইরে বের হওয়ায় রাজধানীতে প্রথম দিন ৫৫০ এবং দ্বিতীয় দিন ৩২০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে র‌্যাবের অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে দেশব্যাপী বৃহস্পতিবার ১৮২ জনকে জরিমানায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং শুক্রবারের অভিযানে ২১৩ জনের জরিমানায় ২ লাখ ১৫ হাজার ৫৪০ টাকা আদায় করা হয়।

সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউনের নির্দেশনা জারি করে সরকার। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হতে হলে মাস্ক পরে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার কথাও বলা হয় নির্দেশনায়। বন্ধ রয়েছে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব অফিস। ৭ জুলাই পর্যন্ত চলবে কঠোর লকডাউন।

বিধিনিষেধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিষেবা, যেমন- কৃষিপণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি) খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলী, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র বহন করে যাতায়াত করতে পারবেন।

প্রজ্ঞাপন অনুসারে, পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক-কাভার্ডভ্যান, কার্গো ভেসেল এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে। বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র ও স্থল) এবং এ সংশ্লিষ্ট অফিস এই নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে।শিল্প কারখানাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে।