English Version
আপডেট : ৩০ জুন, ২০২১ ১৩:৪৭

পিকাপ আসলেই হুমড়ি খেয়ে পরছে মানুষ

অনলাইন ডেস্ক
পিকাপ আসলেই হুমড়ি খেয়ে পরছে মানুষ

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সোমবার (২৮ জুন) থেকে দেশজুড়ে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। অফিস-আদালতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিয়ে সীমিত পরিসরে চালু রাখা হয়েছে। বাস্তবায়নের জন্য গণপরিবহন চলাচল একেবারেই বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে অফিসগামী এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষ। আজ বুধবার (৩০ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

এসময় দেখা যায় অফিসগামী এবং জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষদের একটি বাইক দেখলেই নিয়ে যাওয়ার আকুতি করছেন। ভাড়া যাই হোক যেতে চান তাদের গন্তব্যে। একটি বাইক আসলেই সকলকেই ছুটে যেতে যায়। যখন একটি পিক-আপ আসে তখন গন্তব্যে যেতে মানুষগুলো পিক-আপের ওপর হুমড়ি খেয়ে পরছে।

লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ রেখে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামী মানুষ। তাই বাধ্য হয়েই অনেকে বেশি ভাড়ায় রিকশা, ভ্যান, রাইড শেয়ারিংয়ের বাইক, পিক-আপ বা পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন।

মো. সুজন নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বলেন, লকডাউনে শুধু সমস্যা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। যাদের গাড়ি আছে তারাতে ঠিকই চলছে। এখন জরুরি প্রয়োজনে কোথাও যেতে হলে তিন চার গুন ভাড়া দিতে হচ্ছে। এর থেকে ভোগান্তি কষ্ট আর কিছু হতে পারে না।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো. আল আমিন। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি জানান, ‘সড়কে গাড়ি নেই, সিএনজি ভাড়াও বেশি। কি করবো আমরা সাধারণ মানুষ। আমাদের মরণ ছাড়া উপায় নাই।’

মো. সাদ্দাম হোসেন নলেন, যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে, তাদের জন্য লকডাউন নেই। দেখেন রাস্তায় কি পরিমান প্রাইভেট কার চলছে। তাদের কোথাও যেতেও বাধা নাই। কিন্তু আমার মত যারা বাসে যাতায়াত করি, তারা কিভাবে অফিসে যাব, এটা কেউ ভাবেন না।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার। বুধবার (৩০ জুন) বিধিনিষেধ আরোপ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া দফতর-সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি অফিস, যন্ত্রচালিত যানবাহন, শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা, জনসমাবেশ হয় এমন কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না এই সময়ে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় ২১টি শর্ত যুক্ত করে ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ হয়েছে বলে জানানো হয়।