English Version
আপডেট : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২১:০৫

'নারীকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'

অনলাইন ডেস্ক
'নারীকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব'

'জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে করেছিলেন দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক নারীকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। একটি সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে নারী উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই তিনি নারী উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে নারীদের মর্যাদা দান করে প্রথম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন।'    মঙ্গলবার রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ ২০১৯ শীর্ষক বিভাগীয় পর্যায়ের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।  মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উদ্যোগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।    প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতার দেখানো পথে সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী নানা কৌশল ও নীতি প্রণয়ন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে জয়িতা সম্মাননা প্রদান প্রথম শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফলে আজ নারীরা কর্মক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি অবদান রাখার সুযোগ পাচ্ছে। সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে এসেছে। কিছুক্ষেত্রে পুরুষের চেয়েও নারীরা বেশি সাফল্য অর্জন করেছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী নির্যাতনসহ নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য বন্ধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান।           এ বছর রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে মোট দশ জন নারীকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী, সফল জননী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে চূড়ান্ত ফলাফলে দশ জনের মধ্য থেকে পাঁচ জনকে শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা প্রদান করা হয়।          অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে পাবনার সুমনা সুলতানা সাথী, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী হিসেবে বগুড়ার মিফতাহুল জান্নাত, সফল জননী নারী হিসেবে রাজশাহীর আমিনা হক, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নব উদ্যমী নারী হিসেবে পাবনার রোজিনা খাতুন ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাজশাহীর সেলিনা বেগম শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা গ্রহণ করেন। এর আগে চ‚ড়ান্তভাবে নির্বাচিত পাঁচজন জয়িতার জীবন সংগ্রামের উপর ধারণকৃত ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।            অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ড. হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে সংরক্ষিত আসনের এমপি আদিবা আনজুম মিতা, ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ঢাকা থেকে যুক্ত হয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি টিএম মুজাহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবদুল জলিল ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. সাজিদ হোসেন বক্তৃতা করেন।