English Version
আপডেট : ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:২০

রাজধানীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ

মাস্টারমাইন্ড স্কুলের ‘ও’ লেভেলের স্কুল ছাত্রী শাহনূরীকে (১৭) ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে তারই চার সহপাঠীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায়।

ওই স্কুল ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, দিনদুপুরে ডেকে নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে নিহত শিক্ষার্থীর বোনজামাই শরীফ বলেন, সে সম্পর্কে আমার চাচাতো শ্যালিকা। এ বছর মাস্টারমাইন্ড স্কুল থেকে ও-লেভেল পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর তিনটার দিকে কলাবাগানের ডলফিন গলিতে কোচিং করতে গেলে এ সময় তার এক বান্ধবী মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে একটি বাসায় নিয়ে যায়। এ সময় ওই বাসাতে চারজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে।

যখন প্রচন্ড রক্তপাত শুরু হয় তখন ধর্ষণে অভিযুক্ত বয়ফ্রেন্ড ফারদিন ইফতেখার দিহান তাকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিকাল পাঁচটায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মরদেহ বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে আমরা মামলা করেছি।

তিনি বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর মা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে চাকরি করেন। বাবা ব্যবসায়ী। তিন ভাই বোনের মধ্যে সে ছিল বড়। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকতেন।

নিহত শিক্ষার্থীর মা জানান, আমার মেয়েকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ও আমাকে যখন ফোন করে জানিয়েছিল তখন আমি অফিসে ছিলাম। আমাকে জানায়, মা আমি ক্লাসের ওয়ার্কসিট আনতে যাচ্ছি। এই বলে গেছে। দুপুর একটার পরে একটি ছেলে মুঠোফোন থেকে ফোন দিয়ে জানায়, আমার মেয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছে। ওকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আপনারা আসেন। পরবর্তীতে গিয়ে দেখি মেয়ের নিথর দেহ পড়ে আছে। ওকে হাসপাতালেই আনা হয়েছে মৃত।

ওই ছাত্রীর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে অভিযোগ করেন, ঘটনায় জড়িতরা প্রভাবশালী হওয়ায় থানা থেকে তাদের ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। সহপাঠীরা তাকে গ্রুপ স্টাডির কথা বলে ডেকে নিয়েছিল।

ওই ছাত্রীর শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানা গেছে। সূত্রমতে, ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে ভয় পেয়ে অভিযুক্ত চারজন ছাত্রীকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসে। এরপর ওই ছাত্রীর মৃত্যু হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বর্তমানে ওই ছাত্রীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই কিশোরীর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে নিয়ে যান কলাবাগান থানা পুলিশের একজন কনস্টেবল। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানাননি ওই পুলিশ সদস্য।

কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।