English Version
আপডেট : ২২ জানুয়ারি, ২০২০ ১৭:২৬
সূত্র:

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার কাজ শুরু

রাজধানীর হাতিরঝিলে অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-এর ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভবনটি ভাঙার কাজের উদ্বোধন করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দল সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের এই সুন্দর ঢাকার দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলের ওপর অপরিকল্পিতভাবে, বেআইনিভাবে এই বিজিএমইএ ভবনটা গড়ে উঠেছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের জন্য, দেশের জন্য, পরিবেশের জন্য এবং সুন্দর ঢাকার জন্য চমৎকার ঢাকার বুকের ওপর একটা বিষফোঁড়ার মতো ছিল।'   এ সময় ভবন ভাঙা কার্যক্রম রাজউক ও নগর বিশারদরা তদারকি করবে বলেও জানান গণপূর্তমন্ত্রী। তিনি জানান, `আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরোনো বিজিএমইএ ভবন অপসারণ শেষ করা হবে। পর্যায়ক্রমে হাতিরঝিলের সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।'

জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ফোর স্টার এন্টারপ্রাইজ ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে। সনাতন পদ্ধতিতে এটি ভাঙা হচ্ছে। ভবন ভাঙার পর লোহা, কাচ, সিলিংসহ সব সামগ্রী নিয়ে নেবে প্রতিষ্ঠানটি। বিনিময়ে তারা রাজউককে ‌১ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে।   গত বছরের ১২ এপ্রিলের মধ্যে বিজিএমইএ ভবনটি সরিয়ে নিতে সময় দিয়েছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সময় পার হওয়ার পর নির্দেশনা বাস্তবায়নে গত বছরের ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় ভবনটিতে তালা ঝুলিয়ে দেয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।

এর আগে ২০০৬ সালের দিকে হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবনের নির্মাণকাজ শেষ হয়। জলাশয়ে ভবনটি নির্মাণ করায় শুরু থেকেই এর বিরোধিতা করে আসছিলেন পরিবেশবাদীরা। পরে বিষয়টি আদালতে গড়ায়।

২০১১ সালের ৩ এপ্রিল হাইকোর্ট এক রায়ে বিজিএমইএ ভবনটিকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করেন। রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভবনটি ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে বিজিএমইএ, যা ২০১৬ সালের ২ জুন আপিল বিভাগে খারিজ হয়।