English Version
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১১:২৩
সূত্র:

হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষের জীবন

হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষের জীবন

উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যার পর বাড়তে থাকা ঠাণ্ডার প্রকোপ অসহনীয় রূপ নেয় ভোর রাতে। শীতে বিপর্যস্ত রাজধানীর ছিন্নমূল মানুষ। হুট করে শীত জেঁকে বসায় বিপাকে অসহায়-দরিদ্ররা। তাই ছিন্নমূল মানুষ আর রাতের কর্মজীবীদের পড়তে হয় অসীম দুর্ভোগে।একদিকে খোলা আকাশের নীচে বসবাস, অন্যদিকে, শীত প্রতিরোধে একমাত্র আগুনের উত্তাপই তৃণমূলের মানুষের মূল সম্বল।

রাত হলে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনেই থাকেন জমিলা খাতুন। শীতে কাঁপছেন তিনি। অসহায় এ মানুষ গরম কাপড়ের অপেক্ষায়। তেমনিভাবে নগরীর খোলা আকাশের নিচে বাস করা বহু মানুষের কাছে শীত আসে কষ্ট নিয়ে। বিশেষ করে বয়স্ক আর শিশুরা সবচাইতে বেশি দুর্ভোগে পড়েন। আর যারা পেটের দায়ে রাতভর কাজ করেন, তারাও আছেন বিপদে। শীত যতোই বাড়ুক না কেন, সংসারের জন্য তাকে কাজ করে যেতেই হবে।   আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজধানীসহ সারাদেশে আরো বাড়বে শীতের তীব্রতা। তাতে করে অসহায় ভাসমান এসব মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাও বাড়বে কয়েকগুণ। রাত তিনটা। পুরান ঢাকার জনসন রোড এলাকায় দেখা যায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় কোন উপায় না পেয়ে কাগজ, ময়লা অথবা শুকনো পাতা দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীতের প্রকোপের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন নিম্নবিত্তের মানুষ।

আগুন পোহানোর তালিকায় রয়েছেন রাতের বেলায় রাজধানী জুড়ে জীবিকার তাগিদের ছুটে চলা রিক্সা ও সিএনজি চালক থেকে শুরু করে নগরের মোড়ে মোড়ে কর্মরত নিরাপত্তারক্ষীরাও। বেশীরভাগ নিম্নবিত্তের মানুষই লড়াই করছেন জীবন যুদ্ধে টিকে থাকার জন্য এবং শীতের বিরুদ্ধে। কনকনে ঠাণ্ডা। এর সঙ্গে বইছে হিম বাতাস। হুট করেই জেঁকে বসেছে শীত। রাজধানীতেই রাতে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শীতের এমন দাপটে ভোগান্তিতে অসহায় দরিদ্র মানুষজন।