English Version
আপডেট : ১৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:৪৩
সূত্র:

বায়তুল মোকাররমে জমে উঠেছে ইসলামী বইমেলা

বায়তুল মোকাররমে জমে উঠেছে ইসলামী বইমেলা

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ চত্বরে চলছে ইসলামী বইমেলা ২০১৯। গত ৯ নভেম্বর শুরু হওয়া এ মেলা চলবে মাসব্যাপী। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। স্টল মালিকরা জানিয়েছেন এবার শুরুর পর থেকেই মেলা ধীরে ধীরে জমতে শুরু করেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। আয়োজকরা জানান, এবারের মেলায় ৬১টি স্টল অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বুক অপারেটিভ সোসাইটি, গার্ডিয়ান, সিয়ান, সমকালীন, এমদাদীয়া লাইব্রেরি, দারুস সালাম বাংলাদেশ, মুসলিম ভিলেজ, মুহাম্মদীয়া কুতুবখানা, মিনা বুক হাউস, মডার্ন প্রকাশনী অন্যতম। অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠান আকর্ষণীয় ছাড়ে বই বিক্রি করছে।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, স্টলগুলোতে কুরআন-হাদিস গ্রন্থের পাশাপাশি বিভিন্ন ইসলামী শিক্ষামূলক বই, নবী-রাসূলদের জীবনী, ইসলামী ব্যক্তিত্বদের জীবনীসহ বিভিন্ন ধরনের বই বিক্রি চলছে। এসব বইয়ের মধ্যে রয়েছে, ইসলামে হালাল ও হারাম, বিশ্বনবীর জীবনী, তাজকেরাতুল আউলিয়া, নূরানি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ২৪ ঘণ্টায় কুরআন শিক্ষা, রাসূল সা:-এর ২৪ ঘণ্টার আমল, ইমাম গাজ্জালির জীবন, গিবত ও চোগলখোরির ধ্বংসলীলা, মরণের আগে ও পরে প্রভৃতি। এ ছাড়া মেলায় স্থান পেয়েছে ইসলামী ব্যক্তিত্বসহ নানান বিষয়ে গবেষণামূলক বই। এর মধ্যে রয়েছে মিসরের প্রেসিডেন্টকে নিয়ে লেখা বই ‘প্রেসিডিন্ট মুরসি’, ‘লস্ট ইসলামিক হিস্ট্রি’, ‘দ্য ইমারজেন্স অব ইসলামসহ নানান বই। বই ছাড়াও কিছু স্টলে মধু, টুপি, জায়নামাজ, আতর, মেসওয়াক ও তসবিহ বিক্রি করা হচ্ছে।

সোলেমানিয়া বুক স্টলের বিক্রেতা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, প্রতি বছরই তারা মেলায় অংশ নেন। তিনি জানান, মেলায় অনেক স্টলে ছাড়ে বই বিক্রি চলছে। তারাও ৪০ শতাংশ ছাড়ে বই বিক্রি করছেন। এ ছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশন তাদের স্টলে নানান ছাড়ে বই দিচ্ছে। তবে কোনো কোনো ক্রেতা অভিযোগ করেছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগের অভাবে এ মহতি আয়োজন জমছে না। কারণ এ মেলা আয়োজন করা হলেও প্রচারণার অভাবে আশানুরূপ ক্রেতা সমাগম হয় না। এ ছাড়া মেলার প্রচার-প্রচারণার জন্য ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কোনো বাজেট নেই বলেও জানান তারা। জানা যায়, মেলার আগে ও শুরু থেকে কোনো প্রচার-প্রচারণার কাজ করেনি ফাউন্ডেশন। কিন্তু বাংলাদেশে প্রত্যেকটি মেলার আগেই বিভিন্নভাবে প্রচারণার কাজ করে কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে ব্যবসায়ীরা বেশ কয়েকবার ফাউন্ডেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলেও কোনো কাজে আসেনি। ব্যবসায়ীদের অভিমত সঠিক প্রচার-প্রচারণা হলে মেলা আরো জমজমাট হতো।