English Version
আপডেট : ১০ জুলাই, ২০১৯ ১৪:২৭
সূত্র:

রাজধানীর সড়ক ফিরেছে স্বাভাবিক অবস্থায়

রাজধানীর সড়ক ফিরেছে স্বাভাবিক অবস্থায়

রাজধানীর তিন প্রধান সড়কে রিকশাচালক ও মালিকদের দিনভর অবরোধে মঙ্গলবার স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকার একাংশ। তবে ওই আন্দোলন স্থগিত হওয়ায় আজ বুধবার রাজধানীর সড়কে আবারও শুরু হয়েছে যান চলাচল। স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড-নতুনবাজার-বাড্ডা-রামপুরাসহ সব সড়ক।

সকাল থেকে পুরোদমে গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। একদিনের ভোগান্তি শেষে যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে মানুষের মনে। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কুড়িল, নতুন বাজার ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, কোথাও অবরোধ নেই। নির্বিঘ্নে চলাচল করছে সব ধরনের যানবাহন। তবে সড়কে রিকশা দেখা না গেলেও মাঝেমধ্যে কিছু ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে।

এর আগে রিকশাচালকদের অবরোধ চলাকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন রিকশা মালিক ও চালকদের নগর ভবনে চায়ের নিমন্ত্রণ দেন। আর মঙ্গলবার বিকেলে রিকশার জন্য আলাদা লেন করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বিকেল থেকেই যান চলাচল স্বাভাবিক হতে থাকে।

সম্প্রতি কুড়িল থেকে রামপুরা-খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ, গাবতলী থেকে আসাদগেট হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে শাহবাগ মোড়-এ তিনটি সড়কে রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। গত রবিবার থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পর থেকে রিকশা মালিক ও শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠন এর বিরোধিতা করে।

সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার অবরোধ কর্মসূচির কারণে রাজধানীর দক্ষিণ অংশ মূলত অচল হয়ে পড়েছিল। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অচল করে আন্দোলনে নামলেও সমন্বয় ছিল না রিকশা শ্রমিকদের মধ্যে। পরবর্তী দিনের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশ রিকশা শ্রমিক লীগের নেতারা আন্দোলন স্থগিত করলেও গতকাল বিকেল পর্যন্ত রাস্তায় ছিল আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন এবং বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন তাঁরা।

রিকশাচালকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, 'বৈধ লাইসেন্স নেওয়া রিকশা মালিকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করা যেতে পারে। কিন্তু রাস্তা বন্ধ করে মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলা দুঃখজনক।' 

রিকশা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইনসুর আলী বলেন, 'আমরা আন্দোলন স্থগিত করেছি। এখন যারা সড়কে আছে তারা আমাদের কেউ না। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে।'

আন্দোলন চলাকালে গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগ মোড় থেকে রামপুরা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণের কারণে অনেককে ভয়ে ভয়ে রাস্তায় চলতে দেখা যায়। তারা সব ধরনের যানবাহন আটকে দেয়। রাস্তা বন্ধ করার জন্য রশি টানিয়ে দেয়। স্যুয়ারেজ লাইনের স্লাব উঠিয়ে ফেলে। তাদের হাতে নাজেহাল হতে হয় যাত্রীদের।