English Version
আপডেট : ২৪ এপ্রিল, ২০১৯ ১৩:০৭
সূত্র:

দুই বছরের পুরনো খেজুরে নতুন প্যাকেট, ভুয়া মেয়াদ!

দুই বছরের পুরনো খেজুরে নতুন প্যাকেট, ভুয়া মেয়াদ!

২০১৭ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ হয় আমদানি করা কয়েক টন খেজুরের। ২০১৮ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ায় পুরাতন স্টিকার ছিঁড়ে নতুন স্টিকার লাগানো হয়, যেটার মেয়াদ ছিল ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

এরপর মেয়াদোত্তীর্ণ এই খেজুরগুলোকে মদিনা থেকে আমদানিকৃত সাঊদি ডেটস (আম্বার-এ) বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এগুলোর মেয়াদোত্তীর্ণের নতুন তারিখ দেওয়া হয়েছে ২০২০ সালের ১ আগস্ট।

র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অভিনব এই প্রতারণার সন্ধান মিলেছে রাজধানীর পুরান ঢাকায়। মঙ্গলবার পুরাণ ঢাকার বাদামতলীর মেসার্স মৌসুমি ট্রেডার্সে অভিযান পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম ও র‌্যাব-১০।   অভিযানে তাদের গুদাম ও শোরুম থেকে দেড় থেকে দুই বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর জব্দ করা হয়েছে। এসময় ২৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া তিনজনকে দুইবছরের জেল দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কোল্ড স্টোরেজ, গুদাম ও শো-রুমকে সিলগালার সিদ্ধান্ত দেন ম্যাজিস্ট্রেট।

সাজাপ্রাপ্ত তিন ম্যানেজার হলেন- ফারুক, তানভীর ও শফিকুলে। এছাড়াও একজন মালিক হাজী তারেক আহম্মেদ বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হবে বলে জানান ম্যাজিস্ট্রেট।

অভিযানের শুরুতে মৌসুমি ট্রেডার্সের দুইটি গুদামে যায় র‌্যাব।  সেখানে বিপুল পরিমাণে পচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুর মজুত দেখতে পায়। মেয়াদোত্তীর্ণ খেজুরের প্যাকেট ছিঁড়ে নতুন চকচকে প্যাকেটে ঢুকিয়ে নতুন করে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখের স্টিকার লাগানো হচ্ছিল।