English Version
আপডেট : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ ১০:১৫
সূত্র:

মাঘে রাজধানী ছেড়ে পালিয়েছে শীত

মাঘে রাজধানী ছেড়ে পালিয়েছে শীত

অনেকেই শীতকে দেখছেন দুরন্ত হতাশা ও আশাহীনতার কাল হিসেবে। এবার বুঝি তা আর ঘটছে না। মাঘের শীত বাঘের গায়ে লাগে এমন একটি কথা প্রচলন থাকলেও এবারের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

রাজধানীতে এবার মাঘ মাসেও শীতের প্রভাব নেই বললেই চলে।

আবহাওয়া আধিদফতরের তথ্যমতে, এবার পৌষ ও মাঘে পুরো শীতকালজুড়েই রাজধানীতে মৌসুমের স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা বেশি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- মাঘে সে হার আরও বেড়ে গেছে।

এ মাসে দিনভেদে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা গড়ে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। এমনকি স্বাভাবিকের চেয়েও সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল তাপমাত্রা।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, ২০ জানুয়ারির পর থেকে তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ জানুয়ারি ৩১ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

আবার রাতে তাপমাত্রা বিভিন্ন হারে কমে যায়। উপমহাদেশে উচ্চচাপবলয় ও বাতাসের ধরনের পরিবর্তনের কারণে এমনটি ঘটেছে।

এই অস্বাভাবিক তাপমাত্রার কারণে রাজধানীবাসী স্বাস্থ্যগত সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের বিপত্তির মুখে পড়ছেন। ব্যাপারটি দাঁড়াচ্ছে- এমন যে লেপ গায়ে দিলে গরমে গা ঘেমে যায়, পাখা চালালে শীত লাগে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

রোববারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে- উপমহাদেশীয় উচ্চচাপবলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এতে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

তবে রাজশাহী, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম। এতে তাপমাত্রা ওঠানামা কিংবা আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় ভাইরাল ব্রঙ্কলাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা অ্যাটাক, ডায়রিয়া ও চর্মরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে দুই বছরের কম বয়সী শিশুরা অনেক বেশি ঝুঁকিতে থাকে।