English Version
আপডেট : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯ ১৩:১১
সূত্র:

বিমানবন্দর এলাকা রণক্ষেত্র

বিমানবন্দর এলাকা রণক্ষেত্র

রাজধানীর দক্ষিণখানের চালাবন এলাকায় বেতন-ভাতা, বোনাস ও সরকারের করে দেওয়া নির্ধারিত মজুরির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া চলছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শ্রমিকরা অবস্থান নেয় দক্ষিণখানের চালাবন সড়কে। পরে তারা বিমানবন্দর সড়ক, আজমপুর রেলগেট ও এর আশপাশের এলাকায় বিক্ষোভ শুরু করেন।

গার্মেন্টসগুলোর সামনে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের এই অবরোধ কর্মসূচিতে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে একত্রিত হতে থাকে আরো শ্রমিক।

যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে গতকালের মতো আজও সেখানে পুলিশের কয়েকটি দল টহল দিচ্ছে। তারা বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের নানাভাবে বোঝানোরও চেষ্টা করছেন।কিন্তু শ্রমিকরা পুলিশের এ নির্দেশ মানতে রাজি হয়নি। যার ফলে এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাক বিতণ্ডা তৈরি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, ঘটনাস্থলে গুলির শব্দও শোনা গেছে।

পোশাক শ্রমিকরা এখন দলে দলে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছে। এতে থেমে থেমে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। ফলে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পোশাক-শ্রমিকরা সকাল থেকে দক্ষিণখানের চালাবন এলাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেয়া শুরু করলে পুলিশ সেখানে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। শ্রমিকরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে তাদের কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকে। এসময় তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। ফলে পুরো এলাকায় তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি।

এদিকে, নতুন বছরের শুরুতেই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নবগঠিত সরকার দেশের তৈরি পোশাকসহ রপ্তানী খাতের জন্য চলতি বছরের জুন পর্যন্ত উৎস কর কমিয়ে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করেছে। যাতে ৪০০-৫০০ কোটি টাকা আয় হবে পোশাক মালিকপক্ষের।

এরই মধ্যে পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি কাঠামো কার্যকর করেছে সরকার। তবে কিছু কারখানা মালিক পুরোপুরিভাবে এখানো কার্যকর করেনি এই মজুরি কাঠামো। ফলে নতুন করে দেশের শীর্ষ এই রফতানি খাতটিতে শুরু হয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। যদিও এ নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক চলমান রয়েছে।