English Version
আপডেট : ৪ অক্টোবর, ২০১৮ ১৬:৩০

কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক
কোটা বহালের দাবিতে শাহবাগে বিক্ষোভ

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মসহ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা এতে অংশ নিয়েছেন। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শাহবাগের মোড়ে অবস্থান নেন ৫০ থেকে ৬০ জন।

শাহবাগ মোড় অবরোধ করায় যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ওই এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শাহবাগ হয়ে যেসব গাড়ি চলে, সেগুলোকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে দিয়ে ডাইভারশন করা হচ্ছে। এলিফ্যান্ট রোড হয়ে মৎস্য ভবন অভিমুখী গাড়িগুলোকেও বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।শাহবাগ এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ছয়টি দাবিতে তারা সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে-কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন বাতিল, বিসিএসসহ সব চাকরির পরীক্ষায় প্রিলিমিনারি থেকে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, স্বাধীনতাবিরোধীদের বংশধরদেরও সরকারি চাকরি থেকে বহিষ্কার, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটূক্তিকারীদের বিচার, ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে হামলাকারীদের শাস্তি।

গতকাল বুধবার বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের যে সুপারিশ করেছিল সরকারি কমিটি, তাতে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। অর্থাৎ ৯ম থেকে ১৩ তম গ্রেড পর্যন্ত চাকরিতে কোনো কোটা থাকবে না। এসব পদে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন হয়।

বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে নির্বাহী আদেশে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি চালু করা হয়। বর্তমানে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৪৫ শতাংশ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ পদে নিয়োগ করা হয় অগ্রাধিকার কোটায়। অগ্রাধিকার কোটার মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা (পরে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, এখন নাতি-নাতনি) কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা এবং ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিসত্তা কোটা।

সর্বশেষ ২০১২ সালে বিদ্যমান অগ্রাধিকার কোটায় কাঙ্ক্ষিত যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সেই কোটা থেকে ১ শতাংশ পদ প্রতিবন্ধী প্রার্থীদের দিয়ে পূরণের নিয়ম চালু হয়। এর বাইরে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে পোষ্য, আনসার-ভিডিপিসহ আরও কিছু কোটা রয়েছে।