English Version
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৮ ০৬:৩০

মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেলেন মেয়র সাঈদ খোকন

অনলাইন ডেস্ক
মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেলেন মেয়র সাঈদ খোকন

রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পেলেন দক্ষিণ সিটির (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।

সোমবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী বলেন, আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে মরহুম মেয়র আনিসুল হক যে উদ্যোগটি নিয়েছিলেন, মালিকদের সঙ্গে যৌথভাবে এবং অনেকগুলো বৈঠকও তিনি করে গেছেন। তার মৃত্যুতে এই বিষয়টি আর এগোতে পারেনি।

‘আমরা এখন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনকে দায়িত্ব দিলাম। তার নেতৃত্বে আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে আনিসুল হক যে পথ দেখিয়ে গেছেন মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে, এতে উত্তর সিটিরও প্রতিনিধি থাকবেন। নতুন করে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবেন সাঈদ খোকন।’

প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক ঢাকা শহরে এক কোম্পানির অধীনে বাস চালু করার উদ্যোগের পাশাপাশি সড়ক ব্যবস্থার আধুনিকায়নে ইউলুপ নির্মাণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেন। কিন্তু তার মৃত্যুতে সে সব উদ্যোগ প্রায় থেমে যায়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের উপস্থিতিতে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী এ দায়িত্ব দেন তাকেই।

রাজধানীতে বেশিরভাগ গণপরিবহনে ভাড়ার বিনিময়ে টিকেট দেওয়া হয়, সেই ব্যবস্থায় যাওয়া যাবে না- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, মেয়র সাঈদকে প্রধান করে যে কমিটি করেছি সেই কমিটি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে। আমরা সেই অনুযায়ী বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় যাবো।

সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সিটিং সার্ভিসের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানান কাদের।

সভায় নৌ পরিবহন এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাজাহান খান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি এবং এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙা, আইজিপি মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, শ্রমসচিব এবং সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।