English Version
আপডেট : ২৯ জুলাই, ২০১৮ ১২:১৫

অভিশপ্ত এলাকার আরেক নাম 'মিরপুর'

অনলাইন ডেস্ক
অভিশপ্ত এলাকার আরেক নাম 'মিরপুর'

একদিকে মেট্রোরেলের খোঁড়াখুঁড়ি আর অন্য দিকে বৃষ্টি। যার ফলে বেহাল দশা মিরপুরের রোকেয়া স্মরনী। রাজধানীর মিরপুর এখন দুর্ভোগের আরেক নাম। কর্তৃপক্ষের জবাবদিহিতা না থাকায় সেখানকার মানুষের জীবন দুঃসহ হয়ে উঠেছে।

মিরপুর এলাকার মানুষের যাপিত জীবনের গল্প এগিয়ে নিতে প্রতিনিয়তই সংগ্রাম করতে হয় এখানকার বাসিন্দাদের। বেগম রোকেয়া সরণির বেহাল এ দশা নিত্যদিনের।   প্রতিটি ক্ষণ অভিশপ্ত হয়ে উঠেছে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে। শেষ কবে এ সড়কের সংস্কার হয়েছে তাও মনে করতে পারেন না এলাকাবাসী। দুঃসহ জীবনযাপনে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা বলেন, নৌকা করে অফিস করতে হয়। সাঁতরিয়ে বাসায় ঢুকি আমরা। অবস্থা এত খারাপ বলার মত নয়। মিরপুরে থাকা মানে একটা অভিশপ্ত এলাকায় থাকা।

তবে এ বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, মেট্রোরেলের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ায় এ বিষয়ে এখন আর তাদের কিছু করার নেই।   ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী বলেন, এটা এখন আমাদের নিয়ন্ত্রণে নাই। আমরা ওখানে কিছুই করতে পারবো না। সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব তাদের। এখন খারাপ অবস্থা থাকবেই। কিছুই করার নাই আমাদের।

এদিকে, মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, খুব শিগগিরই সংস্কার করা হবে এ সড়কটির। এম আরটি -৬ এর প্রধান প্রকৌশলী বলেন, যতটুকু দরকার আমরা ততটুকু করতে পারছি না। তবে প্রকল্প শেষ হলে আমরা সুন্দর করে রিপেয়ার করে দেবো।

নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যাদের গাফিলতির কারণে জনগণ এরকম দুর্বিষহ যন্ত্রণার ভিতরে দিন কাটাচ্ছে। আমি মনে করি এই ব্যাপারে কঠোর থেকে কঠোরতর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। সেনানিবাসের ভিতরের দিয়ে বাসের এমন সাধারণ মানুষের চলাচলের রাস্তা অস্থায়ী ভাবে উন্মুক্ত করে দিলে হয়তো ভোগান্তি কমবে।

পরস্পরের ওপর দায় না চাপিয়ে রাস্তা সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথাও বলেন এ বিশেষজ্ঞ। মেট্রোরেল প্রকল্প এবং টানা বৃষ্টির কারণে মিরপুরের রাস্তার কি ভয়ংকর অবস্থা তা খালি চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। সাধারণ মানুষের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমন ভোগান্তিতে তারা।