English Version
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০১৮ ১৬:১৯

শহীদে মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

অনলাইন ডেস্ক
শহীদে মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করতে গিয়ে ফের সংগঠনটির হামলার শিকার হয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়র শিক্ষকদের নাজেহাল করার পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের মারধর করে। রোববার বেলা সোয়া ১২টির দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। একপর্যায়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এর আগে বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ব্যানারে সমবেত হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও অভিভাবকরা। তারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক ছাত্রদের নিঃশর্ত মুক্তি, হামলাকারীদের গ্রেফতার ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। তবে তাদের আগেই শহীদ মিনার এলাকায় হাজির হন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

তারা ইডেন ও বদরুন্নেসা কলেজের কয়েকশ নেতাকর্মীকে নিয়ে শহীদ মিনারের বেদির সামনে শিক্ষক-ছাত্রদের মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দিতে শুরু করে ছাত্রলীগ। গালাগাল ও মাইক বন্ধ করে দিলে শিক্ষকরা সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন। এর পর কোটা আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে আইন অনুষদের মোড়ে গেল ছাত্রলীগ কর্মীরা সেখানে হামলা চালায়। শিক্ষকদের গালিগালাজ ও ছাত্রীদের মারধর করে। তারা সাংবাদিকদের ওপরও ঝাপিয়ে পড়ে। তাদের বুম কেড়ে নেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ড. ফাহমিদুল হক বলেন, শহীদ মিনারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি ছিল। সেখানে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়। তারা মাইকে শিক্ষকদের নিয়ে কটূক্তি করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের দোষারোপ করছে। তিনি বলেন, নিপীড়নবিরোধী শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের সামনে আসলে ছাত্রলীগ হামলা চালায়।

শিক্ষার্থী রাফিয়া তামান্না বলেন, প্রথম থেকেই তারা আমাদের মানববন্ধনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছে। পরে আমরা মিছিল নিয়ে যাওয়ার সময় হামলা চালায়। তারা আমাদের শিক্ষকদেরও অপমান করেছে। দুপক্ষের কর্মসূচিতে চলার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কোনো সদস্য সেখানে ছিলেন না।

কিন্তু মারধরের পর শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফের জড়ো হতে শুরু করলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসে তাদের উঠে যেতে বলেন। শিক্ষক ফাহমিদুল হক বলেন, তারা শিক্ষকদের নামে কটূক্তি করেছে, বাজে কথা বলেছে। আমরা প্রক্টিরিয়াল বডির সাহায্য চেয়েছি, কিন্তু তারা এগিয়ে আসেননি। শিক্ষকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীম উদ্দীন খান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদুল হক, আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।