English Version
আপডেট : ২ জুন, ২০১৮ ১১:৫৮

রমজানে তীব্র পানি সংকটে রাজধানীবাসী

অনলাইন ডেস্ক
রমজানে তীব্র পানি সংকটে রাজধানীবাসী

চলছে রমজান মাস। রাজধানীতে দিনদিন তীব্র হচ্ছে পানির সংকট। লম্বা সময় ধরে পানির সংকট দেখা দিলেও মিলছে না সমাধান। এই সময়ে দুর্ভোগে পড়েছেন রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা।

গত এক সপ্তাহে ধরে পানি পাচ্ছেন না মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা। একই সংকট চলছে মিরপুর, কল্যাণপুর, বাড্ডা ও বাসাবোর বেশ কিছু এলাকাতেও। ওয়াসা বারবার সমস্যা সমাধানের কথা জানালেও এত বাস্তবতা খুব একটা চোখে পড়ছে না।   পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজধানীতে দৈনিক পানির চাহিদা ২৩০ কোটি লিটারেরও বেশি। চাহিদার অতিরিক্ত পানি উত্তোলনে সক্ষম ঢাকা ওয়াসা। কিন্তু ভূগর্ভে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায়, পানি উত্তোলন কমে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়তে হচ্ছে অনেক নগরবাসীকে।

ভুক্তভোগীদের দাবি, রমজানে পানির অভাবে রান্না ও বাসাবাড়ির কাজ করতে পারছেন না তারা। বিশুদ্ধ পানিরও তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খাবার পানির সংকট এড়াতে মিনারেল কিংবা ফিল্টার পানি কিনে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

মোহাম্মদপুর কাটাসুরের এক বাসিন্দা বলেন, অনেক দিন ধরেই পানির সমস্যায় ভুগছি। লাইনে তেমন পানি থাকে না। সকালে পানি পেলে বিকালে নাই। রিজার্ভ ট্যাঙ্কিকেই পানি আসে না। সমস্যাটা লাইনে হলে শুধু আমাদের বাসায় পানি থাকার কথা না। আশপাশের অনেক বাসায় একই অবস্থা।

কাটাসুর শেরে বাংলা রোড, কনফিডেন্স টাওয়ারের গলিসহ এলাকার বেশ কিছু জায়গায় একই সমস্যায় ভুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, ওয়াসা কর্মকর্তাদের উদাসীনতায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।   আদাবরের মোহনপুর এলাকাবাসী পানি পাচ্ছেন না এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে। এখানেও কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ওয়াসার অব্যবস্থাপনাকে। এই এলাকায় এখনো বসানো হয়নি কোনো পানির পাম্প। পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে পানি সরবরাহ করা হলেও এখনো তাও বন্ধ রয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন এই এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই এলাকাটা নিয়া তেমনভাবে কেউ ভাবে না। ভাবলে এত বছরেও একটা পাম্প বসানো যায় না? আমরা ছেলেরা বাহিরে গিয়া, মসজিদে গিয়া গোসল করে আসতে পারি। মহিলারা কোথায় যাবে?

এক সপ্তাহের বেশি হয়ে গেছে পানি একেবারেই নাই। বাড়িওয়ালারা কি করে কে জানে? বাহির থেকে খাবার পানি কিনে নিতে হয়। ঈদের আগে সমস্যাটা সমাধান না হলে আমরা বিশাল বিপদে পরবো।

এব্যাপারে ঢাকা ওয়াসার ৩ নম্বর জোনের প্রকৌশলী মো. শাহ্‌ আলম খান বলেন, কিছু কিছু জায়গায় পানির সমস্যা হচ্ছে এটা আমরাও জানি। আমরা সমস্যা সমাধানে কাজ করছি। আশা করছি, খুব দ্রুত সমাধান করা যাবে।   আমরা এখানে পাম্প বসানোর চেষ্টা করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা একটা জায়গা ঠিক করে দিলে আমরা সেখানে পাম্প বসানোর কাজ শুরু করবো।

পাম্প বসাতে কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। পাম্প বসানোর আগ পর্যন্ত জনভোগান্তি নিরসনে অন্য কোনো পাম্প থেকে পানি সরবরাহ করা হবে।