English Version
আপডেট : ১ জুন, ২০১৮ ১৬:২২

বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতা, চরম ভোগান্তি

অনলাইন ডেস্ক
বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতা, চরম ভোগান্তি

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ অনেক সড়কে পানি জমে যায়। দীর্ঘ সময় পানি আটকে থাকায় চলাচলে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে।   জলাবদ্ধ সড়কে গাড়ির পাশাপাশি নৌকাও চলাচল করতে দেখা গেছে এদিন। ময়লাযুক্ত দুর্গন্ধময় পানি থেকে বাঁচতে অনেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ করে নৌকায় রাস্তা পার হয়েছেন বা কাছাকাছি স্থানে গেছেন।

মহানগরীর কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়া এলাকায় এ বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতা চিত্র বেশি দেখা গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটও সৃষ্টি হয় বৃহস্পতিবার।

সকালে নগর ঘুরে দেখা গেছে, কাজীপাড়া থেকে ১০ নম্বর গোল চত্বরের আগ পর্যন্ত পুরো সড়কই পানির নিচে তলিয়ে আছে। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরপানি। কাজীপাড়ায় পানিতে ডুবে একটি বাসের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকে গেছে পথ।

এর ফলে কাজীপাড়ার পেছন থেকে শেওড়াপাড়া পর্যন্ত বহু বাস স্থির দাঁড়িয়ে রয়েছে। আরও দেখা গেছে, কাজীপাড়া থেকে ১০ নম্বর পর্যন্ত জলাবদ্ধ সড়কে মানুষ হাঁটু বা কোমরপানি মাড়িয়ে চলাচল করছে। ২০/৩০ টাকার বিনিময়ে রিকশা বা ভ্যানেও কাউকে কাউকে ১০ নম্বর পর্যন্ত পার হতে দেখা গেছে।

কাজীপাড়ার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী মুকিমুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলেই কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও মিরপুর-১০ নম্বর এলাকা তলিয়ে যায়। এ সময় এ এলাকার মানুষের ভোগান্তির অন্ত থাকে না।

বেলা ১১টায় নিউমার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, কার ও বিভিন্ন যানবাহন পানি কেটে সামনে এগুচ্ছে। এর ফলে ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। আজিম নামের এক সিএনজিচালক জানান, পানি ঢুকে তার গাড়ির ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেছে। সড়কে ম্যানহোলের ঢাকনা খুলে সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসার কর্মচারীদের পানি নামানোর চেষ্টা করতেও দেখা গেছে।

এছাড়াও রাজধানীর শান্তিনগর, আগারগাঁও, মোহাম্মদপুর, হাজারীবাগের কোম্পানীঘাট, পুরান ঢাকার জুরাইন, নাজিমউদ্দিন রোড, আলাউদ্দিন রোড, পুরানা পল্টন, মতিঝিল, আরামবাগ, খিলগাঁও এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এদিন। এসব এলাকার সড়কে চলাচলে রীতিমতো নাকাল হয়েছেন নগরবাসী।   এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, একটু ভারী বৃষ্টি হলেই মহানগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়। তবে কিছুক্ষণ পর আবার চলেও যায়।

এ কারণে সাময়িক জনদুর্ভোগ হয়। ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশা করি ধীরে ধীরে বিদ্যমান সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, ভারী বৃষ্টি হলে ঢাকা উত্তর সিটির বিভিন্ন সড়কে পানি জমছে। পরে আবার পানি সরেও যাচ্ছে। মিরপুর এলাকায় মেট্রোরেলের উন্নয়ন কাজের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওই এলাকার বৃষ্টির পানি সরে যেতে বেশি সময় লাগছে। অন্যান্য এলাকার পানি অন্যান্য যে কোনো সময়ের চেয়ে তাড়াতাড়ি সরে যায়।

ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী কামরুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল ও ড্রেনেজ সংস্কারে কাজ করছে ঢাকা ওয়াসা। সে কারণে গতবারের চেয়ে এবার রাজধানীতে জলজট তুলনামূলক কম হচ্ছে। নতুন বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, সেসব প্রকল্পের কাজও দ্রুত শুরু করা হবে।