English Version
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০১৮ ১৩:০০

বেপরোয়া ড্রাইভিং বন্ধে কঠোর হচ্ছে ডিএমপি

অনলাইন ডেস্ক
বেপরোয়া ড্রাইভিং বন্ধে কঠোর হচ্ছে ডিএমপি

সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক দুর্ঘটনায় টক অব দ্যা টাউনে পরিণত হয়েছে বাসচালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিং। হাত হারানো রাজিবের মৃত্যু, রোজির পা হারানো, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেনের পায়ের ওপর দিয়ে বাসচালনার ঘটনাগুলো আতঙ্কিত করে তুলেছে সবাইকে। এসব বন্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ডিএমপি।

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, এখন থেকে ডিএমপি ট্রাফিকের উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগের সদস্যরা নিয়মিত নিজের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নজরদারি করবেন বাস, ট্রাক আর প্রাইভেটকারের গতিবিধির ওপর। সড়কে কোনো যাত্রীবাহী বাস বেপরোয়া গতিতে চলাচল করলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি আটকের ব্যবস্থা করবেন পুলিশ কর্মকর্তারা। পরবর্তীতে কর্তব্যরত সার্জেন্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট এনে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়া ট্রাফিকের চার বিভাগ চারদিন করে মোট ১৬ দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএমপি। ইতোমধ্যে সে কার্যক্রমও শুরু হয়েছে।

ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) এস এম মুরাদ আলী বলেন,‘সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আমরা চালক-সহকারী ও বাসমালিকদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছি। তাদের এ বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হওয়ারও পরামর্শ দিয়েছি’- যোগ করেন তিনি।

ডিএমপি জানায়, সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে পরিচালিত গত ২০ ও ২১ এপ্রিলের বিশেষ অভিযানে মোট চার হাজার ৮৬৪টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। ৫৩টি গাড়ি ডাম্পিং এবং ৬৫৫টি গাড়ি রেকারিং করা হয়েছে। ১৩ লাখ দুই হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ডিএমপির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ ঢাকার অধিকাংশ বাসের চালকরা মাদকাসক্ত ও অধৈর্য। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। বেপরোয়া ড্রাইভিং বন্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে।