ডাস্টবিন আছে ব্যবহার নেই ,ময়লা পড়ে আছে যত্রতত্র

ঢাকাবাসীর দীর্ঘ অনেক বছরের দাবী ময়লা পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থা,সবার অভিযোগ নগর পিতাদের দিকে। তখন সাধারণ মানুষের সচেতনতা মুখ্য বিষয় ছিল না।কারণ ডাস্টবিন নেই ময়লা রাখবে কোথায় । প্রতি কিলোমিটারে একটি করে ডাস্টবিন স্থাপন করা হয়েছে কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি পরিবেশের।
ডাস্টবিন পড়ে আছে কিন্তু ময়লা রাখা আছে তার পাশে। যত্রতত্র ময়লা পড়ে আছে আগের মতোই ।কলা খেয়ে কলার খোসাটা ঠিকই রাস্তায় স্থান পাচ্ছে । অনেকে বলছে অপরিকল্পিত ডাস্টবিন স্থাপন সিটি কর্পোরেশন বলছে জন সচেতনতার অভাব । সমাজ সচেতন ব্যক্তিরা সব সময় স্বদেশের উন্নয়ন কামনা করে এবং সকল ধরনের উন্নয়নে সহযোগিতা করে । সেই রকম এক পথচারীর কামাল উদ্দিন সে প্রতিদিন মোহাম্মদপুর থেকে সিটি হাসপাতাল পর্যন্ত হেঁটে আসে ।
তিনি সবসময় ডাষ্টবিন ব্যবহার করেন। নিজের বিবেকবোধ ও সচেতনতার দিক থেকে তিনি মনে করেন সবারই এটা ব্যবহার করা উচিত। তিনি বলেন সমাজটা আমাদেরই, আর তাই এই সামাজিক পরিবেশটা পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্বও আমাদের। তার মতে এগুলোর পেছনে যদি ‘ডাষ্টবিন ব্যবহার করুন’ শীর্ষক কোন জনসচেতনতা মূলক ক্যম্পেইন করা হতো তাহলে মানুষের দৃষ্টিটা সেদিকে আরো ভালোভাবে পড়তো।
খুব বেশি পরিবর্তন দেখা না গেলেও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জানায় অনেক সচেতন ব্যক্তিদের কথা এবং আরও বলেন , প্রতিদিনই মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে ও তারা যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার অভ্যাসও পরিবর্তন করছেন। কিন্তু তারপরেও কিছুসংখ্যাক অসচেতন মানুষের উপস্থিতি লক্ষনীয়। সর্বোপরি মানুষ অভ্যাসের দাস। মুহুর্তেই মানুষ তাদের বহুদিনের পুরনো অভ্যাস পরিবর্তন করতে পারেনা। এর জন্য সামাজিক সচেতনতা তৃণমূলপর্যায় থেকে বৃদ্ধি করতে হবে। এবং আশা করা যায় তাদের অভ্যাসও পরিবর্তন হবে সময়ের সাথে সাথে।
নগরবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তির দিক বিবেচনা করেই নগরকর্তাদের এই পদক্ষেপ নেওয়া বলে জানা যায়। রাস্তার আশে পাশে পড়ে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করতেও একপ্রকার দুর্ভোগ পোহাতেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা।
জানা যায়, নগরীর অভ্যান্তরে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার সাতশো ডাষ্টবিন বসানো হয়েছে। এছাড়াও হাতিরঝিল এলাকায় ৩২০টি ওয়েষ্টবিন বসানো হয়েছে। যেগুলোর এক পাশে রিসাইকেবল বর্জ্য ও অন্যপাশে সাধারন বর্জ্য ফেলার ব্যবস্থা রয়েছে।
ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন সুত্রে জানা যায়, যত্রতত্র ময়লার জন্য যাতে পরিবেশ নষ্ট না হয় সে জন্য ৮০টি পয়েন্টে ৫০টির বেশি ফেন্সিং লাগানোর কাজ প্রথমার্ধেই শেষ করা হয়।
হাতিরঝিলে ৩২০টি ওয়েষ্টবিনের মাঝে ৩০ মিটার দূরত্ত রাখা হয়েছে। ব্রীজ এলাকায় জনগনের চলাচল বেশি থাকায় দুই পাশে চারটি করে মোট আটটি ওয়েষ্টবিন দেয়া হয়েছে। প্রায় ছয় হাজার ডাষ্টবিনের মধ্যে যে সব স্থানে জনগনের ভীড় বেশি সেখানে ১৫০ মিটার ব্যবধানে একটি করে ডাষ্টবিন ও যেখানে অপেক্ষাকৃত কম ভীড় সেখানে প্রতি ৩০০ মিটার ব্যবধানে একটি করে ডাষ্টবিন স্থাপন করা হয়েছে।
ডাষ্টবিন গুলোর বর্জ্য দ্রুত অপসারনের জন্য কর্মীরাও কাজ করছেন নিয়মিত। তাদের এ বিষয়ে কড়া নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানাযায়। এছাড়া এ সকল বর্জ্য দ্রুত অপসারনের জন্য ৭০ টির বেশি বর্জ্য ট্রান্সফার স্টেশন চাল করা হয়েছে যেগুলো দ্রুততার সাথে বর্জ্য অপসারনে সহায়ক। কার্যপদ্ধতি পুরোপুরি ঠিক থাকলে রাস্তার পাশে আর কোন ময়লার স্তুপ পাওয়া যাবেনা বলে আশা করা যায়।
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সামসুদ্দিন বলেন , আমরা সচেতন না হলে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় , আমারা শুধু মাত্র দোষ খুঁজতে থাকি আসলে আমরাই সচেতন না ।প্রতিটি মানুষ নিজের জায়গা থেকে পরিবর্তন হলে দেশ এমনিতেই পাল্টে যাবে ।