English Version
আপডেট : ১৩ আগস্ট, ২০১৬ ২৩:১৫

নানা অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলায় ভরা গুলশানের নতুন পরিবহন

অনলাইন ডেস্ক
নানা অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলায় ভরা গুলশানের নতুন পরিবহন

গত ১০ আগষ্ট কূটনৈতিক জোন গুলশান, বনানি ও বারিধারায় চালু করা হয় বিশেষ বাস ‘ঢাকা সাক’। কেমন চলেছ এ বাস এবং কতটুকু সেবা পাচ্ছে এখানকার বাসিন্দার সেটাই দেখার জন্য সরেজমিনে গিয়েছিলাম। বাসে উঠতেই মুহসিন নামে এক যাত্রীর অভিযোগ উঠে এলো নানা অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলার কথা। বললেন, গুলশান-১ থেকে কাকলী আসতে সময় লেগেছে ১ ঘন্টা। একটু পর পর থামিয়ে যাত্রি উঠা-নামা করা হচ্ছে। অথচ বলা হয়েছে এটি সিটিং গাড়ি। সিটিং ও এসি বাস হিসেবে ১৫ টাকা ভাড়া নেয়া হলেও এর কোনো সুবিধাই নেই বাসে। বাসটিতে এসি লাগানো না হওয়াতে বন্ধ জানালার কারণে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অন্তত ১৫ জন যাত্রী বাসটিতে দাঁড়িয়ে আছে। অপর এক যাত্রি আব্দুস সাত্তার আক্ষেপ করে বললেন নিরাপদ সার্ভিস হিসেবে চালু করা হলেও লোকাল বাসের মতো বিভিন্ন পয়েন্টে ইচ্ছেমতো যাত্রী উঠা-নামানোয় কী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হলো তাই বুঝতে পারছি না। তবে এ ব্যাপারে চালক গোলাম রাব্বানি বলেন, কাকলী মোড় ও নতুন বাজার মোড়ে গাড়ি ঘুরতে সিগনাল ও যানজটে পড়তে হচ্ছে। এজন্য স্টপেজে পৌঁছাতে ও ছাড়তে দেরি হচ্ছে বাস। আর মানুষকে বললেও শুনেনা সিগন্যালে গাড়ি আটকে থাকলে মানুষ উঠে যায়। আমরা কী করবো। অপরদিকে উদ্বোধনের পর গুলশান, বনানী, বারিধারা, নিকেতন সোসাইটিতে নামানো হলুদ রংয়ের বিশেষ রিকশা চলাচলেও রয়েছে নানা অব্যস্থাপনা । ঘোষণা দেয়া হলেও শুক্রবার পর্যন্ত নামেনি ৫০০ রিকশার সবগুলো। কয়েকগুণ পুরোনো রিকশার ভিড়ে গুলশানের ৩৫,৩৭, ১৫, ও ৪২ নম্বর রোডে হাতেগোনা কয়েকটি নতুন হলুদ রংয়ের রিকশা দেখা গেছে। তবে ওই রিকশাগুলোতে কথা অনুযায়ী ভাড়ার চার্ট, নম্বর প্লেট ও মোবাইল নম্বর লাগানো হয়নি। চালকের নেই নির্ধারিত পোশাকও। গুলশানে নির্ধারিত ২০০ রিকশার মধ্যে নামানো হয়েছে ১০০টি। প্রয়োজনের তুলনায় হলুদ রংয়ের রিকশার পরিমাণ অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বনানী সোসাইটির রিকশাচালক (বিশেষ রিকশা নং-৩২৬) আশরাফুল ইসলাম বলেন, এখনও ভাড়ার চার্ট, মোবাইল নম্বর লাগানো হয়নি। ট্রেনিংও পরে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদের কথা চিন্তা করে মহা-সমারোহে-ঢাক ঢোল পিটিয়ে গুলশান, নিকেতন, বনানী, বারিধারা এলাকায় এসব বাস নামানো হলেও কবে থেকে বাসিন্দারা সঠিক সেবা পাবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।