English Version
আপডেট : ৪ আগস্ট, ২০১৬ ১৬:৩৫

‘শিক্ষক লাঞ্ছনায় সেলিমের সম্পৃক্ততা নেই’

অনলাইন ডেস্ক
‘শিক্ষক লাঞ্ছনায় সেলিমের সম্পৃক্ততা নেই’

নারায়ণগঞ্জে স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে ওঠ বস করানোর ঘটনায় নির্দেশদাতা হিসেবে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের কোনো সম্পৃক্ততা পায়নি পুলিশ। সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে তদন্ত করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার আদালতে এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

তিনি জানান, বুধবার (০৩ আগস্ট) প্রতিবেদনটি নারায়ণগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জমা দেওয়ার পর তা নথিভুক্ত হয়েছে। আগামী রবিবার (৭ আগস্ট) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এই প্রতিবেদন আসবে। এরপর সেটি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে।

গত ১৪ মে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে বিদ্যালয়ের ভেতরে অবরুদ্ধ করে মারধর করা হলে তিনি আহত হন। পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে তাকে কান ধরে ওঠ-বস করানো হয়।

এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে গত ১৮ মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই ঘটনায় কি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা সংশ্লিষ্টদের জানানোর নির্দেশও দেন।

সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসিন রশিদ পত্রিকায় প্রকাশিত শিক্ষকের কান ধরে উঠবস করার ঘটনায় প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই রুল জারি করেন।

রুলের প্রেক্ষিতে ৯ জুন প্রশাসন প্রতিবেদন জমা দিলেও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) প্রতিবেদন জমা দিতে দুই মাস সময় চান। সময় আবেদনে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ঘটনায় করা জিডি প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্ত চলছে। এ অবস্থায় নতুন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া সম্ভব নয়।

আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করে ৪ আগস্ট পুলিশ প্রতিবেদন জমা দিতে বলে। আর এ বিষয়ে শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়। সেই প্রেক্ষিতেই জিডির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হল।