English Version
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০১৬ ২২:৩৪

রাজধানীর ৫ জোনে অবৈধ স্থাপনা ১৬২৫টি

অনলাইন ডেস্ক
রাজধানীর ৫ জোনে অবৈধ স্থাপনা ১৬২৫টি

রাজধানীর ৫ জোনের আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনার সংখ্যা এক হাজার ৬২৫টি। সচিবালয়ে রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা অননুমোদিত বাণিজ্যিক স্থাপনা ও ভবন উচ্ছেদ-সংক্রান্ত সভার শুরুতে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মোশাররফ হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা তুলে ধরেন। পাঁচটি জোনে বরাদ্দ দেওয়া আবাসিক প্লটে অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনার একটি তালিকা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। যদিও রাজউকের মোট জোন আটটি। তালিকার তথ্য তুলে ধরে মোশাররফ হোসেন জানান, উত্তরায় (জোন-২) ২১৫টি অবৈধ স্থাপনা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, এর মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নিতে ৫৫টি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মিরপুরে (জোন-৩) ৫৮০টি অবৈধ স্থাপনা তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, নোটিশ দেওয়া হয়েছে ৭১টি। গুলশান ও বারিধারায় (জোন-৪) তালিকাভুক্ত অবৈধ স্থাপনা ৫৫২টি, এ জোনে স্থাপনা সরিয়ে নিতে ৩০ জন মালিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ধানমন্ডি ও লালবাগে (জোন-৫) ১৭৩টি অবৈধ স্থাপনা, এর মধ্যে ৬০টি স্থাপনার মালিককে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মতিঝিল ও খিলগাঁওয়ে (জোন-৬) তালিকাভুক্ত অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা ১০৫টি, এ জোনে স্থাপনা সরিয়ে নিতে ৫৩টি নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। জোনগুলোতে অবৈধ স্থাপনা তালিকাভুক্তির কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে গৃহায়ণ মন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। অবৈধ স্থাপনার মধ্যে অফিস, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, গেস্ট হাউজ, ক্লিনিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনাগুলো পর্যায়ক্রমে আমরা উচ্ছেদের এজন্যই আজকে মিটিং ডাকা হয়েছে। আমরা হার্ড লাইনে যাব।’ আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যক স্থাপনার উচ্ছেদের জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠকের সিদ্ধান্ত রয়েছে। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় সন্ত্রাসী হামলার পর আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিও কূটনৈতিক এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন আবাসিক এলাকায় অবৈধ যে স্থাপনাগুলো আছে তা উচ্ছেদে একটি প্রক্রিয়া নেওয়ার জন্য। আমরা প্রক্রিয়া নিয়ে ছিলাম, কিন্তু পরবর্তীকালে মানবিক কারণে, বিদেশিরা ওখানে থাকে সেজন্য ধীর গতিতে কিছু কাজ আমরা করেছি। আমরা কাজ বন্ধ করিনি।’ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে রাজউকের কাজের ফিরিস্ত তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরায় (জোন-২) ১১৬টি র‌্যাম্প (বাড়ির ভেতর থেকে রাস্তার ওপর ঢালু পথ) ও ৯৮টি কারপার্কিং স্পেসের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছি। এ ছাড়া গুলশান বারিধারায় (জোন-৪) ২০৮টি র‌্যাম্প ও ৪৯টি কারপার্কিং স্পেসের অবৈধ স্থাপনা, ধানমণ্ডি ও লালবাগে (জোন-৫) ৯টি র‌্যাম্প ও ৮৯টি কারপার্কিংয়ের স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’ জোন-২ এ ৮৫ লাখ, জোন-৪ এ ৮৬ লাখ ও জোন-৫ এ ২ কোটি ৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রকাশ করা হিবে কি না জানতে চাইলে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘না, না। নামের তালিকার দরকার নেই। কাজের তালিকা দরকার। কার কত দূর করি সেটা দেখেন।’ সভায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারসহ রাজউক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।