দিলকুশার রাস্তায় পার্কিং নিয়ে বিভিন্ন মহলের বাণিজ্য

রাজধানীর মতিঝিল ব্যস্ততম এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম। মতিঝিলের সবচেয়ে ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা হচ্ছে দিলকুশা। এ এলাকায় বেশির ভাগ অফিস বা কার্যালয় হলো ব্যাংক, বীমা, ব্রোকারেজ হাউসসহ অন্যান্য কর্পোরেট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দিলকুশায় যানবাহনে চলাচল তো দূরের কথা হেঁটে চলাও দায়। অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল ও রাস্তার ওপর গাড়ি পার্ক করে রাখাই এর মূল কারণ বলে মনে করছেন চাকরিজীবিরা। এ ছাড়া ফুটপাতের ওপরও যত্রতত্র পার্ক করে রাখা হয় মোটরসাইকেল। ভুক্তভোগীরা জানান, দিলকুশা বানিজ্যিক এলাকার গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নির্ধারিত স্থান রয়েছে। যা কিনা বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী ও দখলদারদের দখলে। এ এলাকায় কর্পোরেট অফিসগুলোর কর্মকর্তারা এবং বাইরে থেকে যারা এখানে কাজে আসেন, তারা গাড়ি পার্কিংয়ের নির্ধারিত জায়গা না পেয়ে রাস্তার ওপরই পার্ক করে রাখেন। আর এ সুযোগে যত্রতত্র পার্কিংয়ের জন্য জরিমানা গুনে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ওই এলাকার পুলিশ। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ভবন থেকে শাপলা চত্বর হয়ে নটরডেম কলেজ ও দৈনিক বাংলা মোড় পর্যন্ত সড়ক এবং পুরো দিলকুশা এলাকার প্রতিটি সড়কের দুই দিকে অসংখ্য ছোট-বড় গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিটি গাড়ি দুই-তিন ঘণ্টা থেকে শুরু করে বিকেলে অফিস ছুটি না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় অপেক্ষায় থাকে। অপ্রশস্ত জায়গা দিয়ে অন্যান্য গাড়ির এলোপাতাড়ি চলাচলের ফলে গোটা বাণিজ্যিক এলাকায় যানজট লেগেই থাকছে। দিলকুশায় সাধারণ বীমা টাওয়ারের আশপাশেও অনেক গাড়ি রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। পুলিশ বা ট্রাফিক সার্জেন্টরা এ ক্ষেত্রে কিছুই বলছেন না। ফুটপাতগুলোতে পার্কিং করে রাখা হচ্ছে মোটরসাইকেল। এতে সাধারণ মানুষের হাঁটাচলাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। অনুসন্ধানে জানা যায়, রাস্তায় পার্কিং নিষেধ থাকলেও বেশির ভাগ ভবনের নিচে পুলিশ বা সার্জেন্টদের টাকা খাইয়ে ওই ভবনের কর্মকর্তারা গাড়ি রাখছেন। এটাকে তারা এক ধরনের সিকিউরিটি মানি বলে চালাচ্ছেন। বাইরের অন্য কেউ যদি কোনো কাজে দিলকুশা এলাকায় এসে অন্যদের দেখাদেখি গাড়ি পার্কিং করেন তাহলেই পুলিশ সার্জেন্ট এসে চাকায় লকার (তালা) লাগিয়ে দিচ্ছেন। যতক্ষণ না পর্যন্ত জরিমানা দিচ্ছেন, ততক্ষণ লকার লাগানো থাকে। লকার ছাড়াতে গেলে সার্জেন্টরা বলেন, র্যাকারের (যেটি দিয়ে অন্য গাড়িতে শিকল লাগিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়) বিল দিতে হবে। অথচ লকার লাগানোর সময় তারা র্যাকার কল (ডাকা) করেন না। র্যাকার তখন কল করা হয় যখন কোনো গাড়ি থানায় নিয়ে যেতে হয়। কিন্তু তার আগেই সাধারণ গাড়ির চালক বা মালিক জরিমানা পরিশোধ করে দেন। অবৈধ সিন্ডিকেট রাস্তার ওপর অবৈধ পার্কিং থেকে টোল তুলছে একটি সিন্ডিকেট। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় গড়ে ওঠা এসব সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত আছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। অবৈধ পার্কিং করা এসব গাড়ি থেকে পুলিশ নিয়মিত টাকা নেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাই তো তাদের গাড়িতে পুলিশ লকার লাগায় না। দিলকুশার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের বাইরে গাড়ি পার্কিং নিষেধ লেখা থাকলেও বেশির ভাগ জায়গায় তা লেখা নেই। তাহলে গাড়ি পার্কিং করলেই কেন জরিমানা গুনতে হয়, যেখানে পাশেই অন্য গাড়ি রাস্তায় পার্কিং করা থাকে―এমন প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি প্রাইভেটকারের চালক দ্য রিপোর্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, গাড়ির মালিকের পরিবার দিলকুশার অটবি ফার্নিচারের দোকানে গেছেন। গাড়ি রাস্তায় পার্কি করেছি দেখে কিছু না বলেই পুলিশ চাকায় লকার লাগিয়ে দিয়েছে। আমার সামনে এভাবে হঠাৎ করে কিছু না বলেই পুলিশ আরও দুটি গাড়ির চাকায় লকার লাগিয়ে দেয়। পরে তারা একেক জন ১২০০ টাকা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। আরেকটি প্রাইভেটকারের চালক জানান, এ গাড়ির মালিক ওয়ান ব্যাংকে কর্মরত। তিনি ওয়ান ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় এসেছেন একটি কাজে। রাস্তায় অন্যান্য গাড়ির সঙ্গে পার্কিং করেছেন। কিছু না বলেই পুলিশ লকার লাগিয়ে দিয়েছে। এখন জরিমানা দিলে মামলা দেবে না। একটি পিকআপের চালক দ্য রিপোর্টকে বলেন, পেপসি কোম্পানির পণ্য ডেলিভারি দিতে এসেছিলাম। এখানে অনেকেই এ পণ্য রাখে। কিন্তু পার্কিং করার পর পুলিশ লকার লাগিয়ে দিয়েছে। এখন জরিমানা গুনতে হবে। না হয় মামলা দিয়ে দেবে। র্যাকারের চার্জ দিলে অবশ্য মামলা দেবে না। র্যাকারের চার্জ সার্জেন্টদের বোঝানোর ওপর নির্ভর করে। জানা যায়, ব্যাংকপাড়া হিসেবে খ্যাত দিলকুশায় সাধারণ বীমা টাওয়ারে ২০০৬ সালে পার্কিং ব্যবস্থা চালু করা হলেও সেখানে গাড়ি উঠছে না। মতিঝিল-দিলকুশার ব্যস্ত সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার গাড়ি দিনভর পার্ক করে রাখা হয়। সেগুলো থেকে নিয়মিত ইজারা তোলা হয়। এর পাশাপাশি ৩৭ তলা সিটি সেন্টারেও প্রায় সাড়ে ৫০০ গাড়ি পার্ক করার ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও গাড়ি উঠছে না। পার্কিং স্পেস দখলমুক্ত করতে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে রাজউক-সিটি করপোরেশন উচ্ছেদ অভিযানে নামে। এ সময় সড়ক সংলগ্ন অবৈধ স্থাপনা এবং বহুতল ভবনের কার পার্কিং স্পেস অবমুক্ত করা হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার কারণে রাজপথ প্রশস্ত করা হয় বলে রাজউক সূত্র জানায়। কিন্তু যথাযথ তদারকির অভাবে পার্কিং স্পেস আবার বাণিজ্যিক কাজে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বলছে, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য সিটি সেন্টারে ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এই পার্কিং স্পট ফাঁকা পড়ে থাকে। একাধিকবার লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করা হয়েছে। তবুও আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এ জন্য দরকার গণসচেতনতা এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন জানান, গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য মতিঝিল সিটি সেন্টারে ব্যবস্থা আছে। সেখানে গেলে দেখা যাবে, সব খালি পড়ে আছে, গাড়ি নেই । কিন্তু রাস্তায় অবৈধভাবে পার্কিং করে রাখছে। একটু কষ্ট করে পার্কিংয়ের জায়গায় গাড়ি রেখে অফিসে আসলে যানজট কমে যায়, তবে সেটা কেউ করতে চান না। সরেজমিনে আরও দেখা যায়, ইউনুস টাওয়ারের উল্টো দিকে ফিনিক্স টাওয়ারের পেছনে গাড়ি পার্কিংয়ের বিশাল স্থান অস্থায়ী ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের দখলে। স্থানীয় টোকাইরা বিভিন্ন জিনিস কুড়িয়ে এসব ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করছে। পার্কিংয়ের বেশির ভাগ স্থানই ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীদের দখলে। পাশেই রয়েছে গাড়ি মেরামতের একটি দোকান। ওই দোকানের বেশির ভাগ মালামাল পার্কিংয়ের স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে একটি খাবার হোটেল। এ স্থানে মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা ওই সব দোকান থেকে ভাড়া আদায় করেন এবং উচ্ছেদ অভিযান হলে ব্যবসায়ীরা সবকিছু সরিয়ে নেয়। আবার কিছুদিন পর আবার একই স্থানে ফের টাকা দিয়ে ওই ব্যবসায়ীরা বসে পড়েন। উচ্ছেদের পরই ফের দখল ২০১৪ সালের প্রথমদিকে রাজউকের এ পার্কিং স্থানে একবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। তখন সব দোকান-হোটেল মাটির সাথে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুদিন পরই ব্যবসায়ীরা আবারও তাদের ব্যবসা নিয়ে বসে পড়েন। এ ঘটনার পর থেকে আর কোনো উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়নি। ৩৭ দিলকুশায় নির্মিত সানমুন স্টার টাওয়ারের নিচের ৫ তলায় সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে যে কার পার্কিং ব্যবস্থা থাকার কথা তা ব্যবহারের অনুপোযোগী। আর এ সমস্যা সমাধানে করপোরেশনের দুই বিভাগের মধ্যে ফাইল চালাচালির মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে অগ্রগতির কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে―সিটি সেন্টারে পার্কিং সুবিধা থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় একটি সিন্ডিকেট ওই এলাকায় অবৈধ পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করছে। আর এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকেও কোনো সহযোগিতা করা হচ্ছে না সিটি করপোরেশনকে। অবৈধ পার্কিং বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি বলে দাবি করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের একজন কর্মকর্তা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মতিঝিল জোনের এ সহকারী কমিশনার (এসি) দ্য রিপোর্টকে জানান, অনেক সময় অভিযান চালাতে গেলে মানুষ আমাদের ওপরই ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জমিতে চালু হওয়া মতিঝিলের সিটি সেন্টারের নিচের ১০টি ফ্লোর কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রেখে নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপের সঙ্গে শর্ত সাপেক্ষে এই ভবনটি নির্মাণ করা হয়। শর্তানুসারে বেজমেন্টসহ মোট ১০তলা বিশিষ্ট বহুতল কার পার্কিং কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে ওরিয়ন গ্রুপ। ২০০৫ সালের প্রথম দিকে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০০৯ সালে শেষ হয় ৩৭ তলা বিশিষ্ট এ বহুতল ভবনটি। ওই বছরই নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ তাদের শর্তানুসারে ২৫টি ফ্লোর নিজের রেখে বাকি ১২টি ফ্লোর ঢাকা সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দেয়। বেজমেন্টসহ মোট ১০টি তলায় কার পার্কিংয়ের জন্য বুঝে পেলেও তা চালু করতে ইজারাদার সংকটে পড়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। বারবার শর্ত শিথিল করে মোট তিনবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও উপযুক্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পায়নি ডিএসসিসি। এদিকে ৩৭ দিলকুশায় সিটি করপোরেশনের অপর একটি জমিতে ২০০৫ সালে আরেকটি বহুতলবিশিষ্ট কার পার্কিং কাম বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য এম আর ট্রেডিংয়ের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। বিভিন্ন অনিয়ম ও শর্ত ভঙ্গ করে এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) নকশা অনুমোদন না নিয়ে ৩২ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠানটি। অন্যদিকে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও বেজমেন্টের ২টিসহ মোট ৫টি ফ্লোরে কার পার্কিংয়ের কোনো সুবিধাই রাখেনি প্রতিষ্ঠানটি। বরং ভবনের সকল তলা নিজেদের দখলে রাখে এম আর ট্রেডিংয়ের মাদার প্রতিষ্ঠান মুন গ্রুপ। মতিঝিল-দিলকুশা এলাকার যানজট ও অবৈধ পার্কিং প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. খালিদ আহমেদ দ্য রিপোর্টকে জানান, আমরা প্রকৌশল বিভাগকে সমস্যাগুলো জানিয়েছি, কিন্তু এসব সমস্যা সমাধান তাদের দায়িত্ব না বলে তারা আমাদের জানিয়ে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী খান মোহাম্মদ বেলাল দ্য রিপোর্টকে জানান, রাজধানীর মতিঝিল ও দিলকুশার যানজট এবং অবৈধ কার পার্কিংয়ের সমস্যা সমাধানে সকলের সহযোগিতা ছাড়া কিছুই করা সম্ভব নয়। সিটি সেন্টারের যে ১০তলা পার্কিং সুবিধা রয়েছে পরপর তিনবার দরপত্র আহ্বান করেও কোনো ইজারাদার পাইনি আমরা। অবশেষে আমরা নিজেদের তত্ত্বাবধায়নে সিটি সেন্টারের পার্কিং চালু করি। এখানে ঘণ্টায় পার্কিংয়ের জন্য ১০ টাকা এবং এক দিনের জন্য ৬০ টাকা দিতে হয়। কিন্তু আপনারা গিয়ে খোঁজ নেন দিনে ৫০টি গাড়িও সেখানে কেউ পার্ক করে না। অথচ ওই ভবনের সামনেই অবৈধভাবে শত শত গাড়ি পার্ক করা রয়েছে। তিনি আরও জানান, আমরা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে বারবার অনুরোধ করেছি, মতিঝিলের অবৈধ কার পার্কিংটা বন্ধ করতে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের কোনো সহায়তা করা হচ্ছে না। পুরো মতিঝিল-দিলকুশায় ফ্রি কার পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করে দিলেও তার ব্যবহার হবে না। আসলে এখানে রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় একটি সিন্ডিকেট সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে। তারাই পুলিশের সহায়তায় এসব অবৈধ কার পার্কিং নিয়ন্ত্রণ করে। অবৈধ পার্কিং, ফুটপথ দখলে কোটি টাকার বাণিজ্য রয়েছে। মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক দ্য রিপোর্টকে জানান, এ ব্যাপারে আমার বিস্তারিত কিছু জানা নেই। এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।