English Version
আপডেট : ১১ জুন, ২০১৬ ১৭:৩৮

মিতু হত্যা মর্মান্তিক, মানবাধিকারও লঙ্ঘন

অনলাইন ডেস্ক
মিতু হত্যা মর্মান্তিক, মানবাধিকারও লঙ্ঘন

“মাহমুদা খানম মিতু হত্যার বিষয়টি অত্যান্ত মর্মান্তিক। যা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে” বলে মন্তব্য করেছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আলম (সাগর)।

শনিবার (১১ জুন) সকালে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস এন্ড ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এসময়ে তিনি মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন,“প্রকাশ্যে একজন নারীকে রাস্তার উপর যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা অন্ধকার যুগকেও হার মানিয়েছে।যেভাবে কোমল মতি একজন ছোট সন্তানের সামনে তার নিজের মাকে হত্যা করা হয়েছে তা মানবাধিকারের চরম লংঘন। আর এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি ক্ষোভ জানান।” সাগর আরও বলেন, “মিতুর হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যই বলে দেয় মানবাধিকারের প্রশ্নে বাংলাদেশের এখনও অনেকটা পথ হাঁটা বাকি। তানা হলে এই যুগেও প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া ছোট সন্তানের সামনে নৃশংস ভাবে হত্যা হতে হয় একজন মাকে ।সন্তানের সামনেই ঘাতকের ছুরিকাঘাত ও বুলেটে মায়ের প্রাণ যাওয়ার করুণ দৃশ্য দেখতে হয়েছে ৬ বছরের শিশুপুত্রকে। এর চেয়ে নির্মম আর কী বা হতে পারে!” সাগর বলেন, “সভ্যতা ও মানবাধিকার রক্ষার যুগে মিতুর হত্যাকাণ্ড যে কত নির্মম এবং মানবাধিকারের লংঘন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।” উল্লেখ্য, গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি এলাকায় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে ৩ মোটরসাইকেল আরোহী।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, “মাহমুদা খানম মিতু হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে যাতে এরকম নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ভবিষ্যতে আর যেন না ঘটে। অপরাধীদের দ্রুত ও উপযুক্ত শাস্তি হলে মাহমুদা খানম মিতুকে জীবিত ফেরত না পাওয়া গেলেও তার স্বামী-সন্তান সহ নিকটবর্তীরা কিছুটা হলেও শান্তি ও স্বস্তি পাবে।”